শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ০৩:১১ এএম

ইসরায়েল ‘বিচারক, জুরি এবং জল্লাদ’

‘ভুল’ জিম্মির মরদেহ ফেরত হামাসের, যুদ্ধে প্রস্তুত ইসরায়েল

ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ০৩:১১ এএম

‘ভুল’ জিম্মির মরদেহ ফেরত হামাসের, যুদ্ধে প্রস্তুত ইসরায়েল

ইসরায়েল সোমবার চারটি মরদেহ পেয়েছে, মঙ্গলবার পেয়েছে তিনটি মরদেহ। আর সর্বশেষ বুধবার রাতে আরও দুটি মরদেহ হস্তান্তর করে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এই দুই মরদেহের পরিচয় এখনো নিশ্চিত নয়, তাই সেগুলোকে দেশটির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনা এমন একসময় ঘটছে, যখন ইসরায়েল ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও শান্তিচুক্তি কার্যকর করা নিয়ে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে রয়েছে।

যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, হামাসকে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি ও মৃতদেহ হস্তান্তর করতে হবে, আর ইসরায়েলকে বোমা হামলা বন্ধ রাখতে হবে। তবে ইসরায়েল দাবি করছে, হামাস তাদের অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে, ফলে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় করা শান্তিচুক্তির স্থায়িত্বও ঝুঁকিতে পড়েছে। অন্যদিকে, হামাসের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে তারা বলছে গাজায় বহু এলাকা এখনো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় মরদেহ শনাক্ত ও উদ্ধারকাজ অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়েছে। এই প্রক্রিয়াটি এখন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের আওতায় চলছে এবং রেড ক্রস উভয় পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।

আলজাজিরা জর্ডান থেকে রিপোর্ট করছেন নূর ওদেহ। তিনি লিখেছেন, একটি অভ্যন্তরীণ গতিশীলতা রয়েছে, যা ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানেন। ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবার হতাশ। মৃতদেহ ফেরত দিতে বিলম্বের কারণে তারা যন্ত্রণায় ভুগছেন, কিন্তু মধ্যস্থতাকারী এবং ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানতেন যে এতে অনেক সময় লাগবে - সপ্তাহ, সম্ভবত মাস। জানুয়ারিতে, এই চুক্তিতে পৌঁছানোর অনেক আগে থেকেই, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সম্প্রদায় জানত যে কিছু মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যাবে না এবং তারা সরাসরি তা বলেছিল।

স্থানীয় সময় বুধবার আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের অ্যাম্বুল্যান্সে করে ওই মরদেহ দুটি ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে ফেরত দেওয়া হয়। বিনিময়ে ইসরায়েল থেকে আরও ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ গাজায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ। বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ওই জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দিয়েছে হামাস। সংগঠনটির সশস্ত্র শাখার (কাসেম ব্রিগেড) দাবি, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় তারা যেসব জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে, তাদের সবাইকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনো যেসব জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি, সেগুলোর সন্ধানে আরও সময় ও উদ্ধারকাজে বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।

মঙ্গলবার ফেরত পাওয়া চার মরদেহের তিনজন হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি নাগরিক বলে নিশ্চিত হলেও অপরজন ভিন্ন কোনো ব্যক্তি বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। গাজায় জিম্মি আরও দুই ইসরায়েলির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। স্থানীয় সময় বুধবার আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই মরদেহ দুটি ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে ফেরত দেওয়া হয়। বিনিময়ে ইসরায়েল থেকে আরও ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ গাজায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ। বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ওই জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দিয়েছে হামাস। সংগঠনটির সশস্ত্র শাখার (কাসেম ব্রিগেড) দাবি, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় তারা যেসব জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে তাদের সবাইকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনো যেসব জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি, সেগুলোর সন্ধানে আরও সময় ও উদ্ধারকাজে বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির কোনো শর্ত লঙ্ঘন করেনি দাবি করে তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধের দুই বছর পর নিহত জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারের কাজটি অত্যন্ত কঠিন হলেও তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে যেন বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী হামাসের কাছে থেকে সবশেষ দুই জিম্মির মরদেহ ফিরে পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তাদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। তবে এর আগে মঙ্গলবার ফেরত পাওয়া চার মরদেহের তিনজন হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি নাগরিক বলে নিশ্চিত হলেও অপরজন ভিন্ন কোনো ব্যক্তি বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। অর্থাৎ যে মরদেহের পরিচয় মেলেনি, তা কোনো জিম্মির মরদেহ নয়। জিম্মি পরিবার ফোরামের শনাক্তকৃত অন্য তিন জিম্মি হলেনÑ ২০ বছর বয়সি তামির নিমরোদি, ৫৩ বছর বয়সি এয়েতান লেভি এবং ৩৫ বছর বয়সি উরিয়েল বারুখ। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসয়ায়েল কাৎজ হামাসকে দেওয়া হুঁশিয়ারি বার্তায় বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ২৮ জিম্মির মরদেহ ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল হামাসের সঙ্গে কোনো আপসে যাবে না।

হামাস চুক্তি ভঙ্গ করলে তাদের পরাজিত করতে পূর্ণাঙ্গ সামরিক পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হচ্ছে।’ অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এক হুঁশিয়ারি বার্তায় বলেছেন, হামাস যদি চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করে, তাহলে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ফের সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে। অবশ্য মার্কিন শীর্ষ উপদেষ্টারা বলছেন, তাদের দৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত হামাস চুক্তি লঙ্ঘন করেনি। হামাস ইতিমধ্যে জীবিত ২০ জন জিম্মিকে ফেরত দিয়েছে এবং বাকিদের মরদেহ উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে। যদি বুধবার ফেরত দেওয়া দুইটি মরদেহ সত্যিই ইসরায়েলি জিম্মিদের হয়, তাহলে এখনো গাজায় আরও ১৯ জন জিম্মি নিখোঁজ রয়েছেন। তবে হামাস আগেই সতর্ক করেছে, গাজা থেকে জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারে বেশি সময় প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধবিরতি চলাকালীন ইসরায়েলি সামরিক নিয়ন্ত্রণাধীন গাজার এলাকায় যাওয়ার ব্যাপারে বারবার সতর্ক করেছে আইডিএফ। এরই মধ্যে দক্ষিণ গাজায় ড্রোন হামলার খবর আসে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস এলাকায় কোনো বিমান হামলা চালানোর বিষয়ে তারা অবগত নয়। খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল এর আগে জানিয়েছে,  সকালে গাজা শহরের দক্ষিণ অংশে কথিত ড্রোন হামলায় একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের ফেরত দেওয়া ফিলিস্তিনিদের মরদেহগুলোতে ভয়াবহ নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

লন্ডনভিত্তিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, ইসরায়েল থেকে ফেরত দেওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে গলাচেপে হত্যা, গুলি করে হত্যাসহ ট্যাংকচাপায় মৃত্যুর স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। হামাসের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ইসরায়েল গাজায় প্রায় ৪৫ জনের অজ্ঞাত মরদেহ ফেরত দেয়। গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের একটি সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছে, রেড ক্রসের মাধ্যমে পৌঁছানো এসব মরদেহের মধ্যে কিছু সম্প্রতি নিহত। আবার কিছু পচনধরা বা আংশিক অবস্থায় এসেছে। একাধিক মরদেহে ভয়াবহ নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে, গলা টিপে ধরার দাগ, হাড় ভাঙা, অঙ্গহানি ও বিকৃত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। কিছু মরদেহের হাত-পা বাঁধা ছিল, চোখ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। কিছু মরদেহের হাত বা পা ছিল না।

৪ জিম্মির মৃতদেহ ফেরত পাওয়ার পর গাজা ও মিসরের মধ্যে রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়ার এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক সহায়তা স্থানান্তরের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার (১৫ অক্টোবর) এ তথ্য জানায় ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টার কেএএন। এখন থেকে গাজায় প্রবেশ করবে ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক। গাজায় ত্রাণের সরবরাহ প্রবেশ করে মূলত রাফা সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবে ইসরায়েল ও হামাস সম্মতি জানানোর পর ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গাজায়। যুদ্ধবিরতির পর প্রথম তিন দিনের প্রতিদিন রাফা সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ৩০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। এদিকে, ট্রাম্পের ২০ পয়েন্ট সংবলিত প্রস্তাবের একটি জীবিত ও মৃত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারটি উল্লেখ ছিল।

গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি হামলায় দুইজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে আলজাজিরাকে জানিয়েছে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স। খবরে বলা হয়, খান ইউনিসের বানি সুআইলা এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে একটি ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার ড্রোন থেকে বোমা নিক্ষেপে এক ব্যক্তি নিহত হন। অন্য ব্যক্তি দুই দিন আগে গাজা সিটির কলেজ অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কাছে গুলিবিদ্ধ হন এবং আজ তার মৃত্যু হয়। এর আগে জানা গিয়েছিল, সকালে বানি সুআইলা এলাকায় ড্রোন হামলায় দুইজন আহত হন, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে, দখলকৃত পশ্চিম তীরে রামাল্লাহর উত্তর-পূর্বে আল-মুগাইয়ির গ্রামে একটি বাড়ি ভেঙে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গ্রাম পরিষদের প্রধান আমিন আবু আলিয়া সংবাদ সংস্থা ওয়াফাকে জানিয়েছেন, আজ সকালে ইসরায়েলি সেনারা গ্রামটি ঘেরাও করে এবং ওয়াজিহ মুসা আবু আলিয়ার নির্মাণাধীন দুইতলা বাড়িটি ভেঙে ফেলে। বাড়িটি অনুমতি ছাড়া নির্মাণ করা হচ্ছিল বলে দাবি করে ইসরায়েলি বাহিনী। আলজাজিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও যাচাই করে দেখেছে, যেখানে দেখা যায় ইসরায়েলি সেনারা একটি এস্কাভেটর ব্যবহার করে ভবনটি ধ্বংস করছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!