চোট কাটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেই ফিরেছেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। কিন্তু ফেরার সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান। মাত্র ৫ রান করে আউট হন তিনি। লিটনের মতো সাইফ হাসান, শামীম পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহানরাও ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে হার দিয়েই উইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ। তবে আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বরূপে ফেরার প্রত্যয় লিটনদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরতেই আজ মাঠে নামবে টাইগাররা।
গত ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের কাছে ১৬ রানে হারের ম্যাচে ইতিবাচক দিক হলোÑ টেল-এন্ডার ব্যাটসম্যানরা আবারও নিজেদের ব্যাটিং সামর্থ্য দেখিয়েছেন। বিশেষ করে তানজিম হাসান সাকিব। উইন্ডিজদের দেওয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে নিজেদের ভাগ্যটা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। তবে নাসুম আহমেদকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়ে আশা সঞ্চার করেন সাকিব। ২৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন এই পেস অলরাউন্ডার। নাসুম ১৩ বলে ২০ রান করে আউট হন। ম্যাচ শেষে নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গে তানজিম সাকিব জানান, ‘ব্যাটিংয়ে সব সময় সালাউদ্দিন স্যার আমার ওপর অনেক আত্মবিশ^াস রাখেন। প্র্যাকটিসে অনেক বেশি ব্যাটিং করান, যেটা আমাকেও আত্মবিশ^াস দেয়। আমি চেষ্টা করি এবং টিম ম্যানেজমেন্টে যারাই আছে, একদম প্লেয়ার্স থেকে শুরু করে কোচরা, সবাই আমাকে বিশ^াস করেই ব্যাটিংয়ে পাঠান যে তুমি রান করতে পারবা।’
মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের আরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করা উচিত বলে মনে করেন তানজিম সাকিব। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা আরও একটু দায়িত্ব নিতে পারত। যারা শুরুতেই (গত ম্যাচে) আউট হয়ে গেছে, তারা যদি দায়িত্ব নিয়ে খেলা আরেকটু গভীরে নিয়ে যেতে পারত, তাহলে ম্যাচটা হয়তো ভিন্ন হতো।’ প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে তানজিম সাকিব আরও বলেন, ‘তামিম যেরকম শুরু পেয়েছিল, সেটা খুবই ভালো ছিল। আর বাকি ব্যাটসম্যানদের অনেকেই সেট হওয়ার আগে আউট হয়ে গেছে। তাদের বিষয়ে আর বলার কিছু নাই। কিন্তু মিডল অর্ডার নিয়ে অবশ্যই চিন্তার কারণ আছে। তারা যদি আরেকটু টেনে নিত খেলাটা, সেই অপশন ছিল, কারণ তখন ফিল্ড ওপেন হয়ে গিয়েছিল। চাইলেই এক এক করে আমরা খেলাটা টেনে নিয়ে যেতে পারতাম।’
গত ম্যাচে হতাশ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করবে বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের দিকেই চোখ স্বাগতিকদের। সাকিব বলেন, ‘আর এক ম্যাচ হারলেই সিরিজ হেরে যাব। ঘরের মাঠে খেলা, অবশ্যই চেষ্টা করব সিরিজ জেতার। বিদেশে যেহেতু জিতে এসেছি, এখানে আমাদের বাড়তি সুযোগ আছে সিরিজ জেতার। অবশ্যই চেষ্টা থাকবে।’ আজ ভুলত্রুটি শুধরে রানে ফেরার চেষ্টা করবেন ব্যাটসম্যানরা। যদি ব্যাটসম্যানরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারেন, তাহলে দ্বিতীয় ম্যাচে দোর্দ- প্রতাপে ঘুরে দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশ। সাগরিকার মাঠে বাংলাদেশ জয়ে ফিরবেÑ এমন প্রত্যাশা থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে, চট্টগ্রামের সাগরিকার বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন