বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কোটি টাকার কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৫, ০৩:১২ এএম

কোটি টাকার কাজ ফেলে  উধাও ঠিকাদার

*** সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চরম ভোগান্তিতে স্থানীরা

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সড়কের এক পাশে মাটি খুঁড়ে রাস্তার উন্নয়ন কাজ না করেই দীর্ঘদিন ধরে কাজ ফেলে রেখেছে ঠিকাদার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বারবার তাগিদ দিয়েও কাজে ফেরাতে পারেনি ঠিকাদারদের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীরা। নাগরপুর-শাহজানী ভায়া গয়হাটা সড়কের সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও মাত্র কয়েক দিন পর কাজ ফেলে রেখে লাপাত্তা হয় দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

জানা যায়, জনগণের ভোগান্তি লাগবের জন্য সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ৯৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে মেসার্স কৃষ্ণা স্টুডিও ও এম এস নাইস ট্রেডার্সকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সংস্কার কাজ ২ অক্টোবর ২০২৪ শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা ছিল। মেসার্স কৃষ্ণা স্টুডিওকে ৪৫০০ মিটার থেকে ৮৬৮৫ মিটার পর্যন্ত ৪.১৮৫ কিলোমিটার অংশের কাজ এবং এম এস নাইস ট্রেডার্সকে ০ থেকে ৪৫০০ মিটার পর্যন্ত ৪.৫ কিলোমিটার অংশের কাজ দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ শুরুর কিছুদিন পরই উভয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ না করে চলে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিন দেখা গেছে, নাগরপুর-শাহজানী ভায়া গয়হাটা সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষায় এসব গর্তে পানি জমে সড়কটি চলাচল-অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যানবাহনসহ সাধারণ পথচারীর চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা কাদা জল পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। জরুরি প্রয়োজনে রোগী পরিবহনও এখন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

ইজিবাইক চালক আবুল বলেন, রাস্তার পাশে গর্ত করে রাখায় গাড়ি ওভারটেকিং করতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। ব্যবসায়ী আলিম মিয়া জানান, পণ্য পরিবহনের সময় ট্রাক-ভ্যান গর্তে আটকে যায়। সময়মতো পণ্য পৌঁছাতে পারছি না, ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। পশ্চিম দুয়াজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভিজিট করতে আসা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মীর সাইফুল ইসলাম বলেন, স্কুলের সামনে এভাবে গর্ত করে রাখায় অনেক সময় বৃষ্টির পানি জমে থাকে। যার ফলে ছোট ছোট শিশুদের বিদ্যালয়ে আসা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. তোরাপ আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন কাজ ফেলে রাখায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উচ্চ আদালতে রিট করেছে। আমাদের পক্ষ থেকেও আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি রিট খারিজ হলে দ্রুত নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!