আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাল নোট ছড়ানোর আশঙ্কায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্কতা জারি করেছে। তারা বলছে, কিছু মহল নির্বাচনকালীন অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে বাজারে জাল নোট ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। এসব জাল নোট নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতেও ব্যবহৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
সম্প্রতি ভারত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে জাল নোট প্রবেশের কয়েকটি ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিশেষ করে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত স্থলবন্দর বেনাপোল ও শার্শা সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২১ জুন বেনাপোলের আমড়াখালী বিজিবি চেকপোস্ট থেকে ৯ লাখ ২০ হাজার জাল টাকার নোটসহ যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ভবারবেড় গ্রামের ইছাহাক আলীর ছেলে খালিদ হোসেনকে (১৭) গ্রেপ্তার করা হয়। ইজিবাইকে করে যশোরের দিকে যাওয়ার সময় বিজিবির টহলদল খালিদ হোসেনকে আটক করে তার শরীর তল্লাশি করে প্যান্টের ভেতর থেকে ৯২০ পিস (এক হাজার টাকার) জাল টাকা পাওয়া যায়।
বিজিবি বলছে, বেনাপোল ও শার্শা এলাকার সঙ্গে ভারতের ৭০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সীমান্ত এলাকা বেনাপোলের সাদিপুর, ঘিবা, রঘুনাথপুর, ধান্যখোলা, গাতীপাড়া, বড়আঁচড়া, পুটখালী ও শার্শার কাশিপুর, শিকারপুর, শালকোনা, রুদ্রপুর, গোগা অগ্রভুলোটসহ অন্য সীমান্তে কড়াকড়ি নজরদারি আরোপ করা হয়েছে। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়িতে বাড়ানো হয়েছে তল্লাশি। বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানকারী যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানিং, নোট শনাক্তকরণ যন্ত্র এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে সীমান্তে জাল নোট, অস্ত্র ও অন্যান্যচোরাচালান রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে। যে সব সীমান্তে সম্ভাব্য চোরাচালানে ব্যবহার হয় সেই সব সড়ক সিল করা হয়েছে, যাতে কোনো প্রকার চোরাচালান ও চোরাচালানি পণ্য বহন করতে না পারে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন