বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন হাবিবুর রহমান। গতকাল শনিবার রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে হংকং চায়নার বিপক্ষে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের এই ওপেনার। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল পারভেজ হোসেনের। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশালের হয়ে ৪২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। কাতারের দোহায় চলমান গ্রুপ ‘এ’র ম্যাচে হংকংয়ের দেওয়া ১৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন হাবিবুর। তার এই ইনিংসে বাংলাদেশ ‘এ’ দলও ম্যাচ জিতেছে ৮ উইকেটে, ৫৪ বল হাতে রেখে। তাতে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে আকবর আলীর দল।
ইনিংসের প্রথম ওভারে তিন ছক্কা দিয়ে ব্যাটিং-ঝড় শুরু হাবিবুরের। পরের ওভারে ৩ চারের সঙ্গে মারেন আরও ১টি ছক্কা। পুরো ইনিংসে ছক্কা মেরেছেন ১০টি। সব কটিই পাওয়ার প্লের মধ্যে। এমন ঝড়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ‘এ’ দল তুলেছে ১০৭ রান। এই ১০৭ রানের মধ্যে পাওয়ার প্লেতে ২৫ বলে ৮৮ রান করেন হাবিবুর একাই। অন্য ওপেনার জিশান আলম তাকে সঙ্গ দিয়েছেন। তিনি পাওয়ার প্লেতে করেন ১৬ রান। সপ্তম ওভারে আউট হওয়ার আগে জিশান করেন ১৪ বলে ২০ রান। ইনিংসের প্রথম ২৪ বলে ৮৮ রান করা হাবিবুরের সামনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙার সুযোগ ছিল। সাহিল চৌহানের ২৭ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙতে ২৫ ও ২৬তম বলে ছক্কা মারার দরকার ছিল তার। সেটা তিনি পারেননি। শেষ ১২ রান তিনি করেছেন রয়েসয়ে, ১১ বলে। শেষ দিকে তিনি খুব একটা স্ট্রাইকও পাননি। ৪ নম্বরে নেমে অধিনায়ক আকবর আলী করেছেন ১৩ বলে অপরাজিত ৪১ রান। ৪১ রানের মধ্যে তিনি ৩৬ রানই করেছেন ছক্কা মেরে। এই পথে কিঞ্চিত সাহার করা ওভারের শেষ ৫ বলে মেরেছেন ৫ ছক্কা। হংকংকে হারানোর ম্যাচেও বাংলাদেশের বোলিংটা খুব একটা ভালো হয়নি। প্রথম ১০ ওভারে ৬৫ রান দেওয়া বাংলাদেশ শেষ ১০ ওভারে খরচ করেন ১০২ রান। শেষ ওভারে আবু হায়দার খরচ করেন ২৬ রান। সে কারণেই হংকং তুলতে পারে ১৬৭ রান। হংকংয়ের হয়ে ফিফটি করেছেন বাবর হায়াত। তিনি করেছেন ৪৯ বলে ৬৩ রান।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন