খুলনার পাইকগাছায় পাখির প্রজনন ও নিরাপদ আবাস গড়ে তুলতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে মাটির পাত্র, ছোট ঝুড়ি ও বাঁশের তৈরি ২ হাজার ৮ শতাধিক বাসা। এসব পাত্রে শুধু পাখিই নয়, কাঠবিড়ালিও বাসা বেঁধেছে। পরিবেশ রক্ষায় এটি এখন উপজেলার অন্যতম সফল উদ্যোগ হিসেবে প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন বাজারের পাশে দেবদারু গাছ এবং গোপালপুর স্কুলের পাশের মেহগনি গাছসহ বিভিন্ন উঁচু গাছে বাঁধা মাটির পাত্রে কাঠবিড়ালি নরম পাটের আঁশজাতীয় উপকরণ দিয়ে বাসা তৈরি করেছে। অনেক পাত্রে পাখির ডিম, বাচ্চা এবং কাঠবিড়ালির ছানাও পাওয়া গেছে।
এ কাজে যুক্ত স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন বনবিবি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় পাখির জন্য আবাস তৈরি করে আসছে। সংগঠনের সভাপতি ও সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান বলেন, ‘যে স্বপ্ন বহুদিন ধরে দেখেছি, তা এখন বাস্তবায়ন হচ্ছে। মাটির পাত্রে পাখির পাশাপাশি কাঠবিড়ালিও বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। এতে আমাদের সদস্যদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষও ব্যাপকভাবে সাড়া দিচ্ছে।’
দেশে নির্বিচারে বড় গাছপালা নিধনের ফলে আবাসিক পাখির প্রজননের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শিকারি ও অসচেতন মানুষের কারণে ঝুঁকির মুখে পড়ছে পাখির বাসস্থান। কৃষি ও জেলে সম্প্রদায়ের অসচেতন ব্যবহারের কারণেও অনেক এলাকায় প্রাণী ও পাখির অভয়ারণ্য হুমকির মুখে।
এ অবস্থায় পাইকগাছার এই উদ্যোগ স্থানীয়ভাবে পাখির আবাস রক্ষা ও পরিবেশ সুরক্ষায় নতুন উদাহরণ তৈরি করছে বলে মনে করছেন পরিবেশবাদীরা।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন