বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে নতুন শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। এ পদে আবেদন করতে প্রার্থীর শিক্ষাজীবনের কোনোটিতেই তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। কারো তৃতীয় বিভাগ থাকলে তিনি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এ শর্ত পূরণ না করে কেউই আবেদন করতে পারবেন না। ‘সংশোধিত এমপিও নীতিমালায়’ এ-সংক্রান্ত বিধান যুক্ত করা হয়েছে। নীতিমালাটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনও পেয়েছে। শিগগির এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সংশোধিত এমপিও নীতিমালায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর শিক্ষাজীবনের একটিতেও তৃতীয় বিভাগ থাকলে তিনি আবেদন করতে পারবেন না। নতুন করে এ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। আগের নীতিমালায় তৃতীয় বিভাগ পাওয়া প্রার্থীরাও আবেদনের সুযোগ পেতেন। এখন থেকে তারা আর সুযোগ পাবেন না।’
জানা গেছে, এনটিআরসিএর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এখন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের দপ্তরে রয়েছে। তবে বিধিমালায় সচিব এখনো সই করেননি। আগামী সপ্তাহে এ বিধিমালা প্রকাশিত হতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সংশোধিত বিধিমালায় প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ নিয়োগে পরীক্ষা নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে কত নম্বরের পরীক্ষা হবে সেটি চূড়ান্ত করা হয়নি। এ বিষয়ে এনটিআরসিএর বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। অর্থাৎ কত নম্বরে পরীক্ষা হবে, মৌখিক পরীক্ষায় কত নম্বর থাকবে, তা এনটিআরসিএর নির্বাহীকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, নিয়োগ হবে বাছাই পরীক্ষার মাধ্যমে। তবে কত নম্বরের মূল্যায়ন করা হবে, তা চূড়ান্ত করবে এনটিআরসিএ। বিধিমালা সংশোধন কমিটি ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের প্রস্তাব করেছিল। সেটি সংশোধিত চূড়ান্ত বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়নি। এটি এনটিআরসিএর এখতিয়ারে রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার ও সমমানের সব পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এটি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত বলেও উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন