প্রত্যাশার নৈবেদ্য
নকুল শর্ম্মা
ভোরের কুয়াশার আবছায়া দৃষ্টিÑ
পথ হারানোর দুরুদুরু বুকের কাঁপুনি,
নিস্তব্ধতার লোনা কান্নার জলে হতাশার সুর।
শিশির ভেজা ঘাসের রাজত্বÑ
হিমশীতল পায়ে বিষাদের শতসহস্র হাহাকার,
মনের কোনের স্বপ্নগুলো ভেঙে খানখান।
বরফ গলা হৃদয়ের মৃদু স্পন্দনÑ
অন্তরে লালিত সজীব ভালোবাসার রক্তক্ষরণ,
ব্যর্থতার খবরগুলো জানালায় কড়া নাড়ে বারবার।
প্রত্যাশা নির্মল সূর্যের উষ্ণতাÑ
অন্ধকার সিঁড়িগুলো জেগে উঠুক আলোর নৈবেদ্যে,
অসীমের কোল ঘেঁষে জন্ম হোক বিস্তীর্ণ সরোবর।
ইফতেখার রবিন
রোদের ভেতর হাহাকার
প্রতিদিন রোদ নামে,
সাদা-কালো-লালের ভেতর দিয়ে তুমি হেঁটে আস
মৃদু কোনো অনুশোচনার মতো,
আর আমার হৃদয়ের পাশে ছোট ছোট ঘ্রাণ
ফুল হয়ে জেগে ওঠে।
ফুটতে ফুটতে দিন শেষ হয়,
যুবক আলো বার্ধক্যের রং মেখে ফিকে হয়ে যায়
তবু আসে, আরও আসে সেই চেনা নস্টালজিক গন্ধ,
পুরোনো নূপুরের শব্দ,
রেডিওতে হারানো মনভোলানো গান।
শোনো রোদ,
দৃশ্যের দুর্দিনে একটু দীপ্তি রেখ
কমে যাওয়া সকালগুলোকে,
বিষণœ দুপুরকে,
নিঃশব্দ রাতের ভেতর জমে থাকা মৃত্যুপূর্ব শূন্যতাকে
একটুখানি প্রেমে ভিজিয়ে দিও।
আমি শুধু চাই
সমস্ত সময়ের বুক জুড়ে
এক জীবনের ভালোবাসা এঁকে যেতে,
এবং না-পারার যে গভীর হাহাকার
সেটাকে ধীরে ধীরে আলো হতে দিতে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন