বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মোজাম্মেল হক আলম, লাকসাম

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ০৬:৩৭ এএম

আজ বৃহত্তর লাকসাম মুক্ত দিবস

মোজাম্মেল হক আলম, লাকসাম

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ০৬:৩৭ এএম

আজ বৃহত্তর লাকসাম মুক্ত দিবস

আজ ১১ ডিসেম্বর বৃহত্তর লাকসাম হানাদারমুক্ত দিবস। এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে মুক্ত হয়েছিল বৃহত্তর লাকসাম। পাকবাহিনীর কবল থেকে স্বাধীনতাকামী বীর মুক্তিযোদ্ধারা এদিন লাকসামকে শত্রু বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করেন। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধ পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীসহ সর্বস্তরের জনগণের উল্লাস ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে এ অঞ্চল। ’৭১-এর এই দিনে লাকসাম হাইস্কুল মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির আহমেদ ভূঁইয়া কর্তৃক প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করার মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন স্বাধীনতাকামী বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

জানা যায়, লাকসাম রেলওয়ে জংশনের অদূরে থ্রি-এ সিগারেট ফ্যাক্টরিতে এ অঞ্চলে পাক হানাদার বাহিনীর মূল ঘাঁটি ছিল। এ অঞ্চলে যুদ্ধ পরিচালনা, অস্ত্র এবং যুদ্ধের যাবতীয় উপকরণ সরবরাহ করা হতো এখান থেকেই। এ ঘাঁটিতে বিভিন্ন স্থান হতে বাঙালি নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতীদের ধরে এনে হত্যা করে পাশেই বেলতলীতে মাটি চাপা দেওয়া হতো। বর্তমানে এ স্থানটি ‘বেলতলি বধ্যভূমি’ নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের ১৫ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনারা প্রথমে লাকসাম জংশন ও দৌলতগঞ্জ বাজার দখলে নিয়ে লাকসাম সিগারেট ফ্যাক্টরিতে স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে। আর এখান থেকেই চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনীসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা নিয়ন্ত্রণ করত। যুদ্ধকালীন পাক বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে লাকসাম জংশন এলাকায় ৪টি সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়। এই বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন সুবেদার আবদুল জলিল, ক্যাপ্টেন মাহবুব, ব্রিগেডিয়ার দিদারুল আলম, মেজর এনাম আহমেদ এবং ফ্লাইট সার্জন ছিদ্দিকুর রহমান।

পরবর্তীতে মিত্র বাহিনী লাকসাম জংশন ও সিগারেট ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন অবস্থানের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে পাকসেনাদের তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলেন। দুই দিন ধরে প্রচ- যুদ্ধের পর পাক বাহিনী লাকসাম থেকে পশ্চিম দিকে পালাতে থাকে। সর্বশেষ ১০ ডিসেম্বর লাকসামের মুদাফরগঞ্জে মুখোমুখি যুদ্ধের পর পাক সেনারা ওইদিন রাতে পালিয়ে যেতে শুরু করে। পালানোর সময় মিত্র বাহিনী উপজেলার চুনাতী গ্রামে এবং মুক্তিবাহিনী শ্রীয়াং ও বাংলাইশে পাক বাহিনীকে মুখোমুখি আক্রমণ করেন। এই আক্রমণে পাক বাহিনীর অসংখ্য প্রাণহানিসহ অনেক পাকসেনা বন্দি হয়। পরদিন ১১ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিবাহিনী লাকসামকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন। লাকসাম মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এতে যুদ্ধকালীন কমান্ডাররা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করবেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!