চ্যাম্পিয়নস লিগে মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল করেন জুল কুন্দে। তার নৈপুণ্যেই ন্যু ক্যাম্পে নতুন রূপে দেখা গেল কাতালানদের। তারা ২-১ গোলে হারাল আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে। শুরুতে গোল হজমের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াল বার্সা। বিরতির পর তিন মিনিটের মধ্যে দুবার বল পাঠালেন কুন্দে। চ্যাম্পিয়নস লিগে জয়ের পথে ফিরল কোচ হান্সি ফ্লিকের দল। ইউরোপ-সেরার প্রতিযোগিতায় দুই ম্যাচ পর জয়ের স্বাদ পেল বার্সেলোনা। ক্লাব ব্রুজের সঙ্গে ৩-৩ ড্রয়ের পর চেলসির বিপক্ষে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল তারা। প্রাথমিক পর্বে ছয় ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্রয়ে আরও চার দলের সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ নম্বরে আছে বার্সেলোনা।
চতুর্থ হারের স্বাদ পাওয়া ফ্রাঙ্কফুর্ট ৪ পয়েন্ট নিয়ে ৩০ নম্বরে আছে। ম্যাচ-জুড়ে বল দখল ও আক্রমণে আধিপত্য করে বার্সেলোনা। প্রায় ৭৬ শতাংশ পজেশন রেখে গোলের জন্য ১৯ শট নিয়ে ৭টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। ফ্রাঙ্কফুর্টের ৬ শটের ৪টি লক্ষ্যে ছিল। ২০২১-২২ ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ফিরতি লেগে কাম্প ন্যুয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা। সেই তেতো স্মৃতি সঙ্গী করে এবারের লড়াইয়ে নেমে পঞ্চম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় স্প্যানিশ দলটি। কুন্দের হেড পাসে বক্সের সামনে থেকে ভলি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রবের্ত লেভানদোভস্কি। নবম মিনিটে পোলিশ তারকা বল জালে পাঠালেও বিল্ডআপের সময় রাফিনিয়া অফসাইডে থাকায় গোল মেলেনি। ১৩ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত লা লিগায় সবশেষ ছয় ম্যাচে জয়ী বার্সেলোনা।
বক্সের বাইরে থেকে জেরার্দ মার্টিনের জোরালো শট এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান ফ্রাঙ্কফুর্ট গোলরক্ষক। বুন্দেসলিগায় সবশেষ ম্যাচে লাইপজিগের বিপক্ষে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়া ফ্রাঙ্কফুর্ট পাল্টা আক্রমণে ২১ মিনিটে গোলের জন্য নিজেদের প্রথম শটেই এগিয়ে যায়। যথারীতি হাই-লাইন রক্ষণের মূল্য দিতে হয় বার্সেলোনাকে। সতীর্থের থ্রু বল ধরে বক্সে ঢুকে নিচু শটে গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন আন্সগা। প্রথমার্ধে আর পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বার্সেলোনা, বরং যোগ করা সময়ে আরেকটি গোল হজম করতে বসেছিল তারা। বক্সের মুখে ভালো পজিশনে বল পেয়ে উড়িয়ে মারেন শাখিরি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নামার তিন মিনিট পর দারুণ সুযোগ পান মার্কাস র্যাশফোর্ড। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে নিজে শট না নিয়ে রাফিনিয়াকে পাস দেন তিনি, লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ৫০ ও ৫৩তম মিনিটে ফ্রাঙ্কফুর্টের জালে বল পাঠিয়ে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন কুন্দে। প্রথমে বাঁ দিক থেকে র্যাশফোর্ডের চমৎকার ক্রসে হেডে সমতা টানেন তিনি, এরপর লামিনে ইয়ামালের ক্রসে আরেকটি হেডে দলকে লিড এনে দেন ফরাসি ডিফেন্ডার। ৬৬ মিনিটে লেভানদোভস্কি ও রাফিনিয়াকে তুলে ফেররান তরেস ও ফ্রেংকি ডি ইয়ংকে নামান বার্সেলোনা কোচ।
দুই মিনিট পর ইয়ামালের পাস বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তরেসের নেওয়া শট পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে যায়। শেষ দিকে বল নিয়ন্ত্রণে রাখাতেই বেশি মনোযোগ দেয় বার্সেলোনা। তাই ব্যবধান আর বাড়েনি।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন