ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫

জেলেনস্কিকে মস্কোতে হামলা চালাতে নিষেধ করলেন ট্রাম্প

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ১১:৩৫ পিএম

গত সোমবার ট্রাম্প ইউক্রেনে রাশিয়ার তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের জন্য মস্কোর বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনের জন্য নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য অস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে তিনি মস্কোকে ৫০ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন। না হলে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের ঘোষণার পর ইউরোপীয় কর্মকর্তারা তৎপর হয়ে উঠেছেন। কীভাবে ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায় এবং কীভাবে ইউক্রেনের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে ভাবছেন তারা। মঙ্গলবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, কিছু প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র এরই মধ্যে ইউক্রেনের পথে আছে। সেগুলো জার্মানি থেকে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার মস্কোতে হামলা চালানোটা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্য উচিত কাজ হবে না। গত মঙ্গলবার তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প আরও বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের উচিত ৫০ দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়া, না হলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। রাশিয়ার আরও গভীরে হামলা জোরদার করতে ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে ইউক্রেনকে উৎসাহ দিয়েছেন বলে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তিনি এ কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের আলোচনার ব্যাপারে জানেন এমন কয়েকজন ব্যক্তির বরাতে মঙ্গলবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমস প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। ট্রাম্প জেলেনস্কির কাছে জানতে চেয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র দেয়, তাহলে তিনি মস্কোতে হামলা চালাতে পারবেন কি না।

গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের সাউথ লনে সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তখন বলেন, ‘না, মস্কোতে হামলা করাটা তার (জেলেনস্কি) উচিত হবে না।’ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান, যতক্ষণ না পশ্চিমা দেশগুলো তার শর্তে শান্তি আলোচনায় বসে। ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকিতেও বিচলিত নন রুশ প্রেসিডেন্ট। বরং রুশ বাহিনী যত অগ্রসর হচ্ছে, ততই রাশিয়ার ইউক্রেন দখলের পরিধি বাড়তে পারে। পুতিন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সেনা পাঠান, যা ছিল পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-সমর্থিত বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইউক্রেনীয় বাহিনীর দীর্ঘ আট বছরের সংঘাতের এক চরম পরিণতি।

সূত্রমতে, পুতিন মনে করেন, রাশিয়ার অর্থনীতি ও সেনাবাহিনী এখন এতটাই শক্তিশালী যে, অতিরিক্ত যে কোনো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা তার দেশ সহ্য করতে পারবে। এর আগে, ট্রাম্প সোমবার ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ নতুন অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা দেন এবং বলেন, ৫০ দিনের মধ্যে শান্তিচুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ভোরোনেজে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় ১৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।  রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা রাতভর ইউক্রেনের ৫৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। মস্কো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।