ঢাকা বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

যুদ্ধের পর বন্যা

বারবার বাস্তুহীন, অতিষ্ঠ পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা

ভিনদেশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ১০:৪৬ এএম
পাকিস্তান

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে বর্ষায় বৃষ্টির তীব্রতা বেড়ে যাওয়া এবং নদী নিয়ে বিরোধে দুর্যোগ মোকাবিলার পরিকল্পনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওই অঞ্চলগুলোর মানুষের বিপদ আরও বাড়বে বলে অনেকের আশঙ্কা। চলতি মাসে বন্যার পানি যখন ভারতের সীমানা পেরিয়ে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত গ্রামে হু হু করে ঢুকতে শুরু করে, শামা জানতেন তাকে কী করতে হবে, চার সন্তানকে জড়ো করো, আর বাড়ি ছাড়ার প্রস্তুতি নাও। এ নিয়ে ২০২৫ সালেই দ্বিতীয়বারের  মতো তাকে বাড়ি ছেড়ে পালাতে হল। এর আগে মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষের সময়ও তাকে একবার নিজের প্রতিদিনকার আশ্রয় ছেড়ে যেতে হয়েছিল। ‘আর কতবার ঘর ছাড়তে হবে?’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে জিজ্ঞাসা ৩০ বছর বয়সি এ মায়ের।

তার স্বামী তখন নৌকায় করে তাদের ১০টি গরু নিরাপদ কোনো আশ্রয়ে রাখার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। ‘যুদ্ধের সময় শিশুদের পড়াশোনার সময় গেল, অনেক কিছু হারালাম। উপচানো চেনাব, রাভি আরও সুতলেজ নদী গত ২৩ অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত পাকিস্তানের ২ হাজার ২০০ গ্রামের ২০ লাখের বেশি মানুষকে ঘরছাড়া করেছে; মৃত্যুর খবর মিলেছে অন্তত ৩৩ জনের। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে পিডিএমএর সর্বশেষ প্রতিবেদনে ২৩ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চেনাব, রাভি ও সুতলেজের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ৩৩ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৮ জন। উদ্ধারকারী দলগুলো ৭ লাখ ৬০ হাজার ৪২৪ জন এবং ৫ লাখ ১৬ হাজার ২৫৮টি পশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। ৩৩১টি শিবিরের মাধ্যমে ভেটেরিনারি সেবা দেওয়া হচ্ছে।