যুক্তরাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ সতর্ক করে দিয়েছেন, অবৈধভাবে নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানালে সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসা সুবিধা বাতিল করা হবে। এই নীতি মূলত অবৈধ অভিবাসন ও ছোট নৌকায় আগমন ঠেকাতে লেবার সরকারের নতুন কৌশলের অংশ। শাবানা মাহমুদ বলেন, যুক্তরাজ্যে ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া এবং অবৈধভাবে বসবাসকারী যেসব নাগরিককে তাদের নিজ দেশ ফেরত নিতে রাজি নয়, সেসব দেশের ওপর আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে ভিসা সুবিধা স্থগিত করা হবে।
প্রাথমিকভাবে ভারত, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়ার নাম থাকলেও সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশের নামও। কারণ, ২০২৪ সালের মে মাসে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে যুক্তরাজ্য একটি নতুন প্রত্যাবর্তন চুক্তি সই করে। এর ফলে নির্বাসন প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে এবং সম্প্রতি ১০ জনেরও বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যের নীতির কঠোরতা প্রমাণ করে, এবার শুধু হুঁশিয়ারি নয়, বাস্তব পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর দেশটি।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়ার ওপর এই নীতির চাপ স্পষ্ট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাজ্যের আগ্রাসী নির্বাসন কার্যক্রমে এসব দেশের পূর্ণ সহযোগিতা জরুরি। ইতোমধ্যে আটক কেন্দ্র বাড়ানো, নতুন কর্মী নিয়োগ এবং চার্টার্ড ফ্লাইটে নির্বাসন কার্যক্রম চালু করার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা জানান, ভারতীয়দের ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার হার সর্বাধিক। শুধু গত বছরই নাইজেরিয়া সবচেয়ে বেশি অনাগ্রহী। যদিও গত বছরই ১ হাজারের বেশি নাগরিক ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও সংখ্যা বেশি হলেও দেশটি সব নাগরিককে ফেরত নিতে অনীহা দেখাচ্ছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন