ঢাকা শনিবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৫

চীনের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি মিয়ানমারের দুই শহর ছাড়বে বিদ্রোহী গোষ্ঠী

ভিনদেশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৫, ০২:২৭ এএম

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে কয়েক মাস ধরে চলমান তীব্র সংঘর্ষ বন্ধে দেশটির জান্তা সরকারের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)। চুক্তির আওতায় তারা দুটি শহর থেকে নিজেদের সদস্যদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।
টিএনএলএ গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, চীনের মধ্যস্থতায় কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত কয়েক দিনের আলোচনা শেষে তারা এ চুক্তিতে পৌঁছেছে। কুনমিং মিয়ানমার সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৪৮ মাইল) দূরে অবস্থিত।
টিএনএলএ বলেছে, চুক্তির আওতায় উত্তরের মান্দালয়ে অবস্থিত মোগক শহর, যা রুবি খনির জন্য পরিচিত এবং শান রাজ্যের উত্তরাঞ্চলীয় মোমেইক শহর থেকে তারা সরে যাবে। তবে তারা সরে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা প্রকাশ করেনি।
চুক্তি অনুযায়ী, আগামী বুধবার থেকে উভয় পক্ষ অগ্রসর হওয়া বন্ধ রাখবে। টিএনএলএ বলেছে, জান্তা বাহিনী বিমান হামলা বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
টিএনএলএ মিয়ানমারের থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের অংশ। জোটের অন্য সদস্যরা হলো মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি ও আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়ে আসছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের পর গঠিত গণতান্ত্রিক প্রতিরোধ আন্দোলনের সঙ্গেও জড়িত তারা।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ওই জোট উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিম মিয়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলো দখল করে নেয়। টিএনএলএ একাই ১২টি শহর দখল করেছে। তবে চলতি বছরের শুরুতে চীনের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির কারণে তাদের অগ্রগতি ধীর হয়ে আসে। ফলে সেনাবাহিনী বড় শহরগুলো পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
চীন মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধে একটি কেন্দ্রীয় মধ্যস্থতাকারী শক্তি হিসেবে কাজ করছে। কারণ, এখানে তাদের বড় ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। চলতি বছর চীন সরকার আরও প্রকাশ্যভাবে মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে।