পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, পাকিস্তান ভারতের ওপর কোনোভাবেই ভরসা করতে পারে না। ভারত সীমান্ত দিয়ে আবারও হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের এক টিভি অনুষ্ঠানের লাইভে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। খাজা আসিফ বলেন, আফগানিস্তান এখন সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে আমরা ভারতীয় সেনাপ্রধানের বক্তব্যও উপেক্ষা করতে পারি না। ভারত সীমান্তে আবারও হামলার চেষ্টা করতে পারে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, ভারত চায় না যে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করুক। তার মতে, পাকিস্তানে আফগানদের সীমান্ত অতিক্রম করে অনুপ্রবেশে ভারতের ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, চীনসহ অন্যান্য রাষ্ট্র পাকিস্তানে সীমান্ত অতিক্রমী হামলার ইতি দেখতে চায়। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, আমরা ভারতীয় সেনাপ্রধানের বক্তব্য উপেক্ষা করতে পারি না। ভারত সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালাতে পারে। মঙ্গলবার সামা টিভির অনুষ্ঠান ‘নাদিম মালিক লাইভে’ এই অশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আফগানিস্তান সীমান্ত অতিক্রম করে অনুপ্রবেশ চালায় এবং এতে ভারতের ভূমিকা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, চীনসহ অন্যান্য রাষ্ট্র পাকিস্তানে সীমান্ত অতিক্রমী হামলার ইতি দেখতে চায়।’ তার ভাষ্য, ‘আফগানিস্তান এখন সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।’ পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, ‘ভারত চায় না যে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করুক। তার মতে, পাকিস্তান দুই দিক থেকেই জড়িয়ে পড়তে পারে এবং এমন পরিস্থিতিতে ভারত যুদ্ধের ঝুঁকি এড়াতে চাইবে।’ খাজা আসিফ আরও বলেন, ‘অনেকেই ভারতকে তার অতীত লজ্জাজনক অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পাকিস্তান ভারতের ওপর কোনোভাবেই ভরসা করতে পারে না এবং ভারত সীমান্তে হামলার চেষ্টা করতে পারে।’ তিনি বলেন, গাজা ইস্যুতে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হতে হবে।
তিনি জানান, পাকিস্তান আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না এবং সেই চুক্তির বিষয়ে দেশের অবস্থান পুরোপুরি স্পষ্ট। দ্বিরাষ্ট্র সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান তার অবস্থান পরিবর্তন করবে না। এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ফের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভারত তার নাগরিকদের নিরাপত্তায় সার্বভৌম অধিকার প্রয়োগ করবে

