ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

সংঘাতে ঘরছাড়া ৫ লাখ মানুষ

ভিনদেশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ০৬:৫৬ এএম

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে নবায়িত সীমান্ত সংঘাতের জেরে দুই দেশের পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। উভয় দেশের সরকারি কর্মকর্তারা গতকাল বুধবার এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুরাসান্ত কংসিরি জানান, সীমান্তসংলগ্ন গ্রাম ও শহরগুলো থেকে এরই মধ্যে চার লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেনা ও পুলিশ সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। একই দিন নমপেনে এক সংবাদ সম্মেলনে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যালি সোচিয়েতা জানান, পাঁচটি প্রদেশ থেকে এক লাখ এক হাজারের বেশি মানুষকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মাঝে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত।

এর মধ্যে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া-লাওসের মিলনস্থল ‘এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গেল’ বা পান্না ত্রিভুজ দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু। প্রাচীন মন্দিরসমৃদ্ধ এই অঞ্চলটিকে উভয় দেশই নিজেদের বলে দাবি করছে। ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনামলে ১৯০৭ সালের মানচিত্রে অঞ্চলটি কম্বোডিয়ার অংশ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় থাইল্যান্ড তৎকাল থেকেই আপত্তি জানায়। কম্বোডিয়া ১৯৫৩ সালে স্বাধীনতা পেলেও পান্না ত্রিভুজের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে; সেই থেকে বিরোধ আর থামেনি। দীর্ঘ উত্তেজনার পর প্রায় ১৫ বছর আগে যুদ্ধবিরতি হলেও গত বছরের মে মাসে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

এর ধারাবাহিকতায় গত জুলাইয়ের শেষে পাঁচ দিনের সংঘর্ষে দুই দেশের ৪৮ জন নিহত ও তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হলেও উত্তেজনা পুরোপুরি কাটেনি। টানটান সেই পরিস্থিতিতে গত রোববার থাইল্যান্ডের সি সা কে প্রদেশে নতুন করে গোলাগুলি শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা রয়ে গেছে, আর বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে প্রতি ঘণ্টায়।