গতকাল বুধবার দুপুরে সিডনির মেসনিক সেন্টারে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স ফিতা কেটে এক্সপোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম আয়োজিত এই এক্সপোতে দুই দেশের ব্যাবসায়িক প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সভাপতি আব্দুল খান রতন এবং অন্য সদস্যরা।
প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স প্রদর্শনীর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর দুই দেশের জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা।
অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পণ্য সম্প্রসারণে সহায়তায়তার আশ্বাস দিয়ে প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স বলেন, জনঘনত্বপূর্ণ বাংলাদেশেও বড় বাজার আছে। সে ক্ষেত্রে যৌথ বাণিজ্য উদ্যোগ দুই দেশের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সভাপতি আবদুল খান রতন জানান, ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন করে বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরতে চায় তার সংগঠন।
এক্সপোর প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্যানেল আলোচনা। দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় ‘ঞযৎবধফং ড়ভ ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু: ঝঃৎবহমঃযবহরহম অঁংঃৎধষরধ–ইধহমষধফবংয চধৎঃহবৎংযরঢ়ং রহ এধৎসবহঃং ্ ঞবীঃরষবং’ শীর্ষক আলোচনা। অংশ নেন নিউ সাউথ ওয়েলসের শ্যাডো মন্ত্রী মার্ক কুরে, স্প্যারো গ্রুপের চেয়ারম্যান শোভন ইসলাম, বাংলাদেশের এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান ও ব্যবসায়ী বেন কারসন।
বিকেলে ‘অমৎর-ওহহড়াধঃরড়হ ্ ঞবপযহড়ষড়মু ঞৎধহংভবৎ: উৎরারহম চৎড়ফঁপঃরারঃু ধহফ ঋড়ড়ফ ঝবপঁৎরঃু’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন শ্যাডো মন্ত্রী অ্যালেক্স হক, অস্ট্রেলিয়ান কটন শিপার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিইও জুলস উইলিস এবং পিআরএন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক রাশেদুল হাসান।
এক্সপোতে অংশ নিতে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা থেকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল সিডনিতে এসে পৌঁছান। দুই দেশের উদ্যোক্তাদের সরাসরি সংযোগ ও বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতেই এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
আয়োজকেরা আশা করছেন, এই এক্সপো অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের সুযোগ প্রসারিত হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন