একটা সময় ছিল যখন ভালো রেজাল্টই ছিল ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সনদ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি পেলেই নিশ্চিত একটা চাকরি মিলত, আর জীবন চলত নিশ্চিন্তে। কিন্তু সেই দিন আর নেই।
এখনকার চাকরি বা কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনেক বেশি বহুমাত্রিক। শুধু একাডেমিক জ্ঞানের গ-িতে আটকে থাকলে পিছিয়ে পড়তে হয়। বিশেষ করে প্রযুক্তিনির্ভর এ ডিজিটাল যুগে টিকে থাকতে হলে দরকার ‘এক্সট্রা কিছু’। দরকার আত্মোন্নয়ন, দক্ষতা, নেতৃত্বগুণ, যোগাযোগের কৌশল এবং ডিজিটাল স্নাতক হওয়ার প্রস্তুতি। এ সময়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিত্ব, দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার উপায় তুলে ধরেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং পেশাদার ফ্রিল্যান্সার সৈকত ইসলাম
দক্ষভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার শিখুন
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি ব্যবহার জ্ঞান শুধু সুবিধা নয়, এটা বেঁচে থাকার হাতিয়ার। গুগল ড্রাইভ, জুম, মাইক্রোসফট অফিস, ক্যানভা, কোডিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এই টুল ও স্কিলগুলোয় এক্সপার্ট হলে কেবল নিজের পড়াশোনাতেই নয়, প্রফেশনাল দুনিয়াতেও এগিয়ে থাকা যায়। এসব শেখা এখন খুব সহজ, ইউটিউব, কুরসেরা, উডেমি, স্কিলশেয়ার ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে বিনা মূল্যে অথবা সামান্য মূল্যে অসংখ্য কোর্স আছে।
একটা সময় ছিল যখন ভালো রেজাল্টই ছিল ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় সনদ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি পেলেই নিশ্চিত একটা চাকরি মিলত, আর জীবন চলত নিশ্চিন্তে। কিন্তু সেই দিন আর নেই। এখনকার চাকরি বা কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনেক বেশি বহুমাত্রিক। শুধু একাডেমিক জ্ঞানের গ-িতে আটকে থাকলে পিছিয়ে পড়তে হয়। বিশেষ করে প্রযুক্তিনির্ভর এ ডিজিটাল যুগে টিকে থাকতে হলে দরকার ‘এক্সট্রা কিছু’। দরকার আত্মোন্নয়ন, দক্ষতা, নেতৃত্বগুণ, যোগাযোগের কৌশল এবং ডিজিটাল স্নাতক হওয়ার প্রস্তুতি। এ সময়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিত্ব, দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার উপায় তুলে ধরেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং পেশাদার ফ্রিল্যান্সার সৈকত ইসলাম
দক্ষভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার শিখুন
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি ব্যবহার জ্ঞান শুধু সুবিধা নয়, এটা বেঁচে থাকার হাতিয়ার। গুগল ড্রাইভ, জুম, মাইক্রোসফট অফিস, ক্যানভা, কোডিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এই টুল ও স্কিলগুলোয় এক্সপার্ট হলে কেবল নিজের পড়াশোনাতেই নয়, প্রফেশনাল দুনিয়াতেও এগিয়ে থাকা যায়। এসব শেখা এখন খুব সহজ, ইউটিউব, কুরসেরা, উডেমি, স্কিলশেয়ার ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে বিনা মূল্যে অথবা সামান্য মূল্যে অসংখ্য কোর্স আছে।
স্কিল সেট করুন
বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিষয়ই পড়েন না কেন, আপনি যদি সমান্তরালে কিছু বাস্তবমুখী স্কিল না শেখেন তাহলে ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জে পড়বেনই। ভাষাজ্ঞান (বিশেষত ইংরেজি ও বাংলা), পাবলিক স্পিকিং, প্রেজেন্টেশন স্কিল, দলগত কাজের অভ্যাস, নেতৃত্বগুণ, টাইম ম্যানেজমেন্ট, এসব শেখার সুযোগ এখনই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ক্লাব, ডিবেট, সেমিনার, ওয়ার্কশপ বা সিভিল সোসাইটি গ্রুপে যুক্ত হয়ে নিজেকে প্রস্তুত করুন বাস্তব দুনিয়ার জন্য।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দক্ষ হোন
সোশ্যাল মিডিয়া এখন শুধু বিনোদনের জায়গা নয়, এটা একটা সম্ভাবনার প্ল্যাটফর্ম। নিজের আগ্রহ, চিন্তা, দক্ষতা তুলে ধরুন। আপনি ফটোগ্রাফি করেন? বই পড়েন? লিখেন? এসব নিয়েই বানাতে পারেন ইউটিউব চ্যানেল বা ইনস্টাগ্রাম
প্রোফাইল। ধীরে ধীরে গড়ে তুলুন নিজের ব্র্যান্ড। চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান বা ক্লায়েন্টরাও এখন প্রার্থীর ডিজিটাল উপস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেয়।
নেটওয়ার্কিং
বিশ্ববিদ্যালয়ে, ইন্টার্নশিপে, সেমিনারে, এমনকি ফেসবুক গ্রুপেও পরিচয় হচ্ছে অনেকের সঙ্গে। তাদের মধ্যে কেউ ভবিষ্যতের সহকর্মী, কেউ উদ্যোক্তা, কেউ প্রভাবশালী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব বা সরকারি কর্মকর্তা হয়ে উঠতে পারে। কার সঙ্গে কোন যোগাযোগ ভবিষ্যতে আপনার দরকার হবে তা এখনই বোঝা মুশকিল। তাই যোগাযোগ রাখুন, শুভেচ্ছা জানান, সহানুভূতিশীল থাকুন। একটি মেইল, একটি লিঙ্কডইন মেসেজ অনেক বড় সুযোগের দরজা খুলে দিতে পারে।
পড়াশোনার বাইরেও পড়ুন
নিজের বিষয়ের বাইরে নিয়মিত পত্রিকা পড়ুন, ব্লগ পড়ুন, ভালো ফিচার, সাক্ষাৎকার, প্রবন্ধ পড়ার অভ্যাস গড়ুন। এতে শুধু জেনারেল নলেজই বাড়বে না, আপনার বিশ্লেষণী দক্ষতাও বাড়বে। কেবল ভালো স্টুডেন্ট নয়, একজন ভালো ‘থিংকার’ হয়ে উঠবেন আপনি। চাকরিদাতারা এখন আর কেবল জিপিএ দেখে না, দেখে আপনি কতটা বিশ্লেষণ করতে পারেন, সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, নেতৃত্ব দিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং ও অনলাইন ইনকাম
ডিজিটাল দুনিয়ায় নিজের দক্ষতা বিক্রি করা সম্ভব সারা পৃথিবীর বাজারে। অনুবাদ, ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, কোডিং, ভিডিও এডিটিংয়ে কাজটাই পারেন না কেন, ফাইভার, আপওয়ার্ক, পিপল পার আওয়ারের মতো প্ল্যাটফর্মে নিজের প্রোফাইল খুলে শুরু করে দিতে পারেন। ছাত্রাবস্থায়ই যদি নিজের খরচ চালানোর সক্ষমতা তৈরি হয়, তাহলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে বহুগুণ।
আত্মজ্ঞান বজায় রাখুন
সবকিছুর আগে দরকার নিজেকে জানা, আপনার আগ্রহ, শক্তি, দুর্বলতা, স্বপ্ন -এ বিষয়গুলো পরিষ্কার না হলে পথচলা কঠিন হবে। কোথায় নিজের উন্নতি দরকার, কোথায় সময় ব্যয় করা অর্থহীন-এই বোধ তৈরি হওয়া চাই। তাই দিনশেষে নিজের সঙ্গে একটা ‘চেক-ইন’ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :