চলতি অর্থবছর থেকে ক্রেডিট কার্ড গ্রহণসহ ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ সেবার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়েছে সরকার। ফলে দেশের লাখো নাগরিকের জন্য ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা গ্রহণ এখন আরও সহজ এবং সহজলভ্য হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, এই উদ্যোগ ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে সহায়ক হবে। সম্প্রতি ঢাকায় ইস্টার্ন ব্যাংক ও মাস্টারকার্ডের যৌথ উদ্যোগে বায়োমেট্রিক মেটাল কার্ড উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, ‘রিটার্ন বা কর ফাইল-সংক্রান্ত কিছু অপ্রয়োজনীয় শর্ত এনবিআরের সঙ্গে সমন্বয় করে তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যাংকিং সেবায় প্রবেশাধিকার বাড়বে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, এখন কোনো ব্যাংক যদি রিটার্ন জমার শর্তে কার্ড দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও ক্রেডিট কার্ড পেতে এখনো কিছু প্রাথমিক যোগ্যতা ও কাগজপত্র লাগবে, যার মধ্যে টিআইএন নম্বর আবশ্যক। এ ছাড়া চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে সর্বনি¤œ বেতন ৩০ হাজার টাকা, ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে বছরে ১০ লাখ টাকার লেনদেন এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও নির্ভরশীলতাভিত্তিক কার্ডের সুযোগ রয়েছে।
ক্রেডিট কার্ড পেতে আবেদনপত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র, দুই কপি ছবি, ঠিকানার প্রমাণ (বিদ্যুৎ বা গ্যাস বিল), পুরোনো ব্যাংক স্টেটমেন্ট, নমিনি তথ্য ও ব্যাংক রেফারেন্স প্রয়োজন হবে।