সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ০৭:৩৫ এএম

৫ বছরে বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৪২%

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ০৭:৩৫ এএম

৫ বছরে বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৪২%

গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪২ শতাংশ আর বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশ। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নেওয়া বিদেশি ঋণ শোধের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। বিশ^ব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেট রিপোর্ট ২০২৫-এ বাংলাদেশ সম্পর্কে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের ওপর বিদেশি ঋণের চাপ বাড়ছে। সরকার বিদেশি ঋণ নিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিমানবন্দরের টার্মিনাল, নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বড় বড় প্রকল্প করেছে। সেগুলোর কয়েকটির ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে। শিগগিরই আরও কয়েকটির শুরু হবে।

বিশ^ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কোভিডের পর থেকে বিদেশি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে, ঋণ পরিশোধে চাপ বাড়ছেÑ এসব কথা বলা হচ্ছে। উন্নয়ন সহযোগীরা গ্রেস পিরিয়ড, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা (ম্যাচুরিটি পিরিয়ড), সুদের হার বৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে আগের চেয়ে বেশি কঠিন শর্ত দিচ্ছে। ফলে ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে উল্লেখযোগ্য হারে বোঝা বাড়ছে। অর্থনীতিতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। তিনি জানান, ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে আগে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ডেট সাসটেইনিবিলিটি রিপোর্টে বাংলাদেশ ‘লো’ ক্যাটাগরিতে ছিল, এখন বলা হচ্ছে ‘মডারেট’।

বিদেশি ঋণের চাপ কমাতে কী করতে হবেÑ এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হোসেন বলেন, দুটি কাজ করতে হবে। এক, রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়াতে হবে। দুই, যেসব বিদেশি ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেই ঋণ দিয়ে এমন প্রকল্প করতে হবে, যেন তা বিদেশি মুদ্রা আয়ে বেশি সহায়তা করে। তিনি বলেন, ‘ঋণের চাপ কমাতে না পারলে ভবিষ্যতে দুর্দশা আছে।’

বিশ^ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সাল শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ১০ হাজার ৪৪৮ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ, ২০২০ সালে এর পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলার। পাঁচ বছরের ব্যবধানে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪২ শতাংশ। এই হিসাব সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের ঋণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করেছে বিশ^ব্যাংক।

বিশ^ব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অতীতে নেওয়া সরকারি-বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের পরিমাণ গত পাঁচ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২০ সালে এ ধরনের বৈদেশিক ঋণের বিপরীতে সুদ ও আসল হিসেবে ৩৭৩ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়েছিল। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩৫ কোটি ডলার। তবে গত পাঁচ বছরে ঋণছাড় খুব একটা বাড়েনি। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২৪ সালে সরকারি-বেসরকারি খাতে ঋণছাড়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১১০ কোটি ডলার। পাঁচ বছর আগে তা ছিল ১ হাজার ২২ কোটি ডলার।

বিশ^ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে রপ্তানির তুলনায় এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১৯২ শতাংশ। ওই বছর মোট ঋণ পরিষেবা রপ্তানির ১৬ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে এমন দেশগুলোর একটি বাংলাদেশÑ এমন মন্তব্য করা হয়েছে বিশ^ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে। তবে বাংলাদেশ কত নম্বরে আছে, তা প্রতিবেদনে বলা হয়নি। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার নামও আছে। বিশ^ব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঋণ পায়। আইডিএর ঋণের ৩০ শতাংশই পায় বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তান। মোট ঋণের প্রায় ২৬ শতাংশই বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে পেয়েছে বাংলাদেশ। এরপর আছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!