আ.লীগ কার্যালয়ে নির্মিত হচ্ছে শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ।

ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ আলীপুর এলাকার হাসিবুল হাসান লাবলু সড়কের উত্তর পাশেই জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়। আওয়ামী সরকারের পতনের পরেই কার্যালয়টিতে হামলা চালানো হয়। করা হয় অগ্নিসংযোগ। এর জেরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় কার্যালয়টি। এবার সেখানেই নির্মাণ হচ্ছে জুলাই শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ।
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ কাজের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেছে ফরিদপুরের গণপূর্ত বিভাগ।
জেলা প্রশাসন ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ওই কার্যালয়ের জায়গাটির মালিক জেলা প্রশাসন। ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে শেখ রাসেল ফাউন্ডেশনের নামে ২৬ শতাংশ জমি ইজারা নেন আওয়ামী নেতা শামীম হক। পরে জায়গাটি শেখ রাসেল স্কয়ার নামকরণ করা হয়।
শামীম হক পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলে ওই জায়গায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করেন। ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই কার্যালয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বিক্ষুব্ধ জনতা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগসহ ভাঙচুর চালায়। এর জেরে কার্যালয়টি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। গত দুই ঈদে ওই জায়গাটি দুস্থদের জন্য স্বল্পমূল্যে মাংসসহ পণ্য বিক্রির কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া জায়গাটি নোংরা আবর্জনার পাশাপাশি পাবলিক টয়লেটে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার সোহান আল মামুন জানান, গণপূর্তের এ কাজটি তারা পেয়েছেন। সে অনুযায়ী তারা কাজে হাত দিয়েছেন। সাতজন নির্মাণ শ্রমিক কাজ করছেন।
ফরিদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘সারা দেশে অভিন্ন বাজেটে জুলাই শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। কাজটি ৫ আগস্টের আগে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ কাজের বরাদ্দের পরিমাণ জানা নেই। তবে ‘ডাইরেক্ট প্রক্রিউমেন্ট মেথড’’ পদ্ধতিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহরাব হোসেন বলেন, সরকারি উদ্যোগে সারা দেশে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ’ নির্মাণ করা হচ্ছে। নিরাপত্তাসহ সবদিক বিচার বিশ্লেষণ করে সবচেয়ে যুৎসই হিসেবে এ জায়গাটি নির্বাচন করা হয়। নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ হবে এবং ৫ আগস্ট সরকারি উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে নতুন করে নির্মিত জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভের এ বেদীতেই পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হবে।