ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

টাঙ্গাইলে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
স্থানীয় সরকার টাঙ্গাইলের উপপরিচালক মো. শিহাব রায়হানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সরকার টাঙ্গাইলের উপপরিচালক মো. শিহাব রায়হানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-টাঙ্গাইল সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার, ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার ও জেলার সকল উপজেলা সমন্বয়কারীগণ এবং ১২০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান/ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।

সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় গ্রাম্য আদালত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ও গ্রাম আদালতের সুবিধা-গ্রাম আদালত সর্ব্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা মুল্যমানের ফৌজদারি ও দেওয়ানী মামলা নিষ্পত্তি করতে পারে, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ উভয়পক্ষের ২ জন করে মনোনীত প্রতিনিধি নিয়ে গ্রাম আদালত গঠিত হয়।

নিজ ইউনিয়ন পরিষদেই গ্রাম আদালত বসে, বিচারিক প্যানেলে নিজেই প্রতিনিধি, নিজেই মনোনয়ন দেয়া যায়, বাদী এবং প্রতিবাদী নিজেরাই নিজেদের কথা বলেতে পারে, আইনজীবী নিয়োগের বিধান নেই।

গ্রাম্য আদালত যেসব বিরোধ নিস্পত্তি করতে পারে-চুরি, ঝগড়া-বিবাদ, কলহ বা মারামারি, দাঙ্গা, প্রতারনা, ভয়ভীতি দেখানো বা হুমকি দেয়া, কোন নারীর শালীনতাকে অমর্যদা বা অপমানের উদ্দেশ্যে কথা বলা, উত্যক্ত করা। গচ্ছিত কোন মুল্যবান সম্পত্তি আত্মসাত করা, পাওনা টাকা আদায়, স্থাবর সম্পত্তির দখল ও পূর্ণ উদ্ধার বা তার মুল্য উদ্ধার, কোন অস্থবর সম্পতি জবর দখল বা ক্ষতি করার জন্য ক্ষতিপুরণ আদায়। গবাদিপশুর অনাধিকার প্রবেশের কারণে ক্ষতিপুরণ, গবাদিপশু মেরে ফেলা বা গবাদিপশুর ক্ষতি করা, কৃষি শ্রমিকের পরিশোধযোগ্য মজুরি ও ক্ষতিপুরণ আদায় ইত্যাদি।

বাংলাদেশের সুবিধা বঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিচার ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ অবদান রাখা, সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য-স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সুসংগঠিত গ্রাম আদালতের মাধ্যমে স্থানীয় বিচারিক চাহিদা এবং যথাযথ আইনি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অধিকেতর সংবেদনাশীল করা, স্থানীয় জনগণ বিশেষ করে নারী, দরিদ্র ও বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন করা: যাতে তারা তাদের প্রতি সংঘটিত অন্যায়সমূহের প্রতিকার চাইতে পারে এবং স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুততম সময়ে, স্বল্প খরচে ও স্বচ্ছতার সাথে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে।

উল্লেখ্য, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির সুযোগ বৃদ্ধি করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।