লিগস কাপের ফাইনালে যে দলের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল ইন্টার মিয়ামি, মেজর লিগ সকারে সেই সিয়াটল সাউন্ডার্সকে ৩-১ গোলে হারাল মেসির দল। ১৫ দিন আগে লিগস কাপের ফাইনালে বিধ্বস্ত হওয়া মিয়ামি এবার জিতল দাপট দেখিয়ে। যথারীতি এই জয়ে বড় ভূমিকা রাখলেন লিওনেল মেসি। ঘরের মাঠে দ্বাদশ মিনিটে জর্দি আলবার গোলের পর প্রথমার্ধেই জালের দেখা পান মেসি। চলতি লিগে ২১ ম্যাচে তার গোল হয়ে গেল ২০টি। গত মৌসুমে তিনি ঠিক ২০ গোলই করেছিলেন। এবারের লিগে ৩০ ম্যাচে ২১ গোল করে মেসির ওপরে আছেন এখনো পর্যন্ত ন্যাশভিলের স্যাম সারিজ। ২০ গোলের পাশাপাশি ১২টি গোলে সহায়তাও করেছেন মেসি। এই ম্যাচেই করেছেন ১টি। গোল করার সঙ্গে এদিন আরেকটি গোল বানিয়ে দিয়েছেন আলবাও।
ফ্লোরিডার চেইস স্টেডিয়ামে দ্বাদশ মিনিটে মেসি বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে ঘিরে থাকা তিনজনের মধ্য থেকে পাস দেন আলবাকে। ছুটে আসা ডিফেন্ডার ফাঁকা থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে নিখুঁতভাবে শেষ করেন কাজ। ষষ্ঠদশ মিনিটে বক্সের ভেতরে মেসির পাস থেকে বল পেয়ে শট নেন ইয়ান ফ্রে। সেটি ফিরিয়ে দেন সাউন্ডার্স গোলকিপার। ২৮ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পান মেসি। অফসাইড ফাঁদ এড়িয়ে উড়ে আসা বল যখন তিনি বক্সের ভেতরে ধরেন, তখন সামনে শুধু গোলকিপার। তবে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে একটু দেরি হয় তার। ততক্ষণে চলে আসেন দুই ডিফেন্ডার। তাদের কাটিয়ে বাঁ পায়ের কোনা দিয়ে শট নেন তিনি। তবে বল ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ৩৩ মিনিটে আলবার ক্রস থেকে ফ্রের হেড কোনো রকমে কর্নার করে রক্ষা করেন সাউন্ডার্সের গোলকিপার। ৪১ মিনিটে ভুল করেননি মেসি। বাঁ পাশ থেকে বক্সের ভেতরে গড়ানো ক্রস করেন আলবা। ছুটে এসে শুয়ে পড়ে পা বাড়িয়ে দেন মেসি।
বল আলতো করে চলে যায় জালে। সাউন্ডার্সের গোলকিপার হয়তো আরেকটু ভালো করতে পারতেন সেখানে। দুই মিনিট পর আরেকটি গোল পেতে পারতেন মেসি। বক্সের ভেতর বাঁ পাশ থেকে তার ডান পায়ের শট দারুণ রিফ্লেক্সে ফিরিয়ে দেন গোলকিপার। দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে রদ্রিগে দে পলের কর্নার থেকে গতিময় হেডে ব্যবধান আরও বাড়ান ফ্রে। ৬৯ মিনিটে একটি গোল ফিরিয়ে দেয় সাউন্ডার্স। ৭৬ মিনিটে আরেকটি দারুণ সুযোগ পান মেসি। সঙ্গে থাকা ডিফেন্ডারকে ছিটকে একদম ফাঁকা চলে গেলেও গোলকিপার সোজা শট নিয়ে ফেলেন তিনি। আর সুযোগ মেলেনি। লিগস কাপের ফাইনালের প্রতিশোধ এই জয়কে বলা যায় বটে, ফাইনাল তো আলাদাই। তবে মেজর লিগ সকারে এই জয় দারুণ জরুরি ছিল মিয়ামির জন্য। ২৭ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট তালিকার পাঁচে মিয়ামি। ৩০ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিলাডেলফিয়া। নিজেদের ম্যাচগুলো জিততে পারলে শীর্ষে ওঠার সুযোগ তাই থাকবে মেসিদের।