অনেক আগে থেকে আমাদের দেশে কোনো বাচ্চাশিশু জন্ম নিলে তার শরীরের যতেœর জন্য অলিভ ওয়েলের ব্যবহারে একটা চল আছে। নবজাতক বা ছোট শিশুদের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল ও কোমল। তাই তাদের যতেœ ব্যবহৃত উপাদানগুলো হওয়া উচিত ১০০% নিরাপদ ও প্রাকৃতিক। এদিক থেকে অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত একটি ভেষজ সমাধান। গ্রামীণ সমাজ থেকে শুরু করে আধুনিক চিকিৎসা পর্যন্ত অনেকেই শিশুর শরীর ও মাথার ত্বকে অলিভ অয়েল ব্যবহারে ভরসা করেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, শিশুর শরীরে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে কী উপকারিতা পাওয়া যায়-
ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে:
শিশুদের ত্বক এত সংবেদনশীল যে যতœসহকারে পরিচালনা করা প্রয়োজন। অলিভ অয়েল ভিটামিন-ই এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ত্বককে গভীরভাবে আর্দ্রতা দেয় এবং শুষ্কতা দূর করে। নিয়মিত অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে শিশুর ত্বক নরম এবং কোমল থাকে যার ফলে ফুসকুড়ি এবং জ্বালা হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট কমে যায়।
সুস্থ বৃদ্ধি এবং বিকাশ:
অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন উদ্দীপিত হয় এবং পেশির স্বাস্থ্য উন্নত হয়, যা শিশুর শারীরিক বিকাশে অবদান রাখে। মৃদু স্ট্রোক পেশিগুলোকে শিথিল করতে, নমনীয়তা উন্নত করতে এবং হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে, সুস্থ বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
প্রশান্তি দেয়:
উষ্ণ অলিভ অয়েল ম্যাসাজ শিশুকে শিথিল করে এবং শিশুকে আরও ভালো করে ঘুমাতে সাহায্য করে। একটি প্রশান্তিদায়ক স্পর্শ অক্সিটোসিন নিঃসরণ বাড়িয়ে তোলে, যা ভালোবাসার হরমোন নামেও পরিচিত। যা মায়ের কাছ থেকে শিশুর সঙ্গে সুরক্ষা এবং বন্ধন নিশ্চিত করে।
হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়:
অলিভ অয়েল দিয়ে মৃদু পেট ম্যাসাজ গ্যাস, কোলিক এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সাধারণ হজম সমস্যার চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে। এটি বৃত্তাকার গতিতে অন্ত্রের মাধ্যমে খাবারের সঠিক চলাচলে সহায়তা করে, যা পেট ফাঁপা এবং খিঁচুনির অস্বস্তি কমায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে:
অলিভ অয়েল ম্যাসাজ রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা সারা শরীরে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উন্নত রক্ত সঞ্চালন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে, আপনার শিশুকে সুস্থ রাখে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
