এটাকেই যেন বলে ‘চোরের মায়ের বড় গলা।’ দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচারসহ নানান অভিযোগে অভিযুক্ত বিদ্যুৎ খাতের মাফিয়া আজিজ খান নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করলেন। সেটিও বিদেশে বসে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকির দায় মাথায় নিয়ে ৫ আগস্টের পর দেশত্যাগ করা এই মাফিয়া দাবি করলেন, সামিট পাওয়ারে বিনিয়োগ করা একটি টাকাও দেশের নয়। অভিযোগ রয়েছে, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। হয়েছেন ফোর্বসের তালিকার শীর্ষ ধনী। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন গণঅভ্যুত্থানে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রচ্ছন্ন সমর্থনে বিদ্যুতের মাফিয়া হয়ে ওঠেন আজিজ খান। তার বিরুদ্ধে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ থাকলেও সব অস্বীকার করায় তাকে দেশে এনে বিচারের আওতায় আনার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এলএনজি আমদানি, কূপ খননসহ সব কাজে একচ্ছত্র স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়েছেন এই আজিজ খান। বছরের পর বছর ক্ষমতার অপব্যবহার করে দিয়েছেন হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় যদি তিনি পার পেয়ে যান, তাহলে অদূর ভবিষ্যতেও সরকারকে এর জন্য খেসারত দিতে হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সামিট পাওয়ার লিমিটেডে শেয়ার থাকা সামিট করপোরেশন লিমিটেডে লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ এবং সামিট করপোরেশন লিমিটেডে শেয়ার থাকা সিঙ্গাপুরের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালে লভ্যাংশ প্রদানে ১৫ শতাংশ উৎসে কর না কেটে আজিজ খান ১ হাজার ১১২ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন। ৫ আগস্টের পর আর দেশে না ফেরায় এই করের এক টাকাও পরিশোধ করেননি তিনি। ফলে চলতি অর্থবছরের হিসাবে এই পরিমাণ বেড়ে ১২০০ কোটি টাকায় গিয়ে পৌঁছাতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও ঢাকার কর অঞ্চল-২-এর কমিশনার ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী গণমাধ্যমকে বলেছেন, এনবিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী আদায়ের প্রক্রিয়ায় যাওয়া হবে। কিন্তু নতুন অর্থবছর শুরু হলেও অদৃশ্য কোনো কারণে এই প্রক্রিয়া এখনো শুরু হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) সূত্রে জানা যায়, লভ্যাংশ বিতরণে উৎসে কর পরিশোধ বাধ্যতামূলক হওয়ার পরও তা ফাঁকি দিয়েছে সামিট। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কয়েকটি বড় শিল্প গ্রুপের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে সিআইসি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘এটা এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় টিডিএস-উৎসে কর কর্তন কেলেঙ্কারি।’ গত বছরের শেষ থেকে সামিট পাওয়ারের সব ধরনের শেয়ারহোল্ডিং, লভ্যাংশ ঘোষণা ও প্রদানের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই কেলেঙ্কারি উদঘাটিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সামিট পাওয়ার লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬৭ কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৯০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডিংয়ে রয়েছে সামিট করপোরেশন লিমিটেড, ইউরোহাব ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারী। বিনিয়োগের পরিমাণ সামিট করপোরেশনের ৬৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, ইউরোহাব ইনভেস্টমেন্টের ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারী ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।’
তিনি আরও বলেন, আয়কর আইন, ২০২৩-এর ১১৭ ধারা মতে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোনো কোম্পানি তার লভ্যাংশ প্রদানের সময় উৎসে কর কর্তনের বিধান রয়েছে। অর্থাৎ এই অর্থ কেটে সরকারকে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সামিট পাওয়ার তার বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সামিট করপোরেশনে লভ্যাংশ দেওয়ার সময় উৎসে কর কাটেনি। তবে ঠিকই অন্য প্রতিষ্ঠান বা বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেওয়ার ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটেছে।
সামিট পাওয়ার লিমিটেডের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন ২০১৭-১৮ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত দেখা যায়, সামিট করপোরেশনকে দেওয়া লভ্যাংশের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি ৩১৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা উৎসে কর কাটেনি। প্রতিদিন জরিমানা বেড়ে ফাঁকির এই অংক দাঁড়িয়েছে ৪৬৫ কোটি সাত লাখ টাকায়। একই ঘটনা ঘটে সামিট করপোরেশন তার লভ্যাংশ সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালে দেওয়ার ক্ষেত্রেও। এ বিষয়ে সামিট পাওয়ার এনবিআর থেকে আইনের একটি ব্যাখ্যা বা স্পষ্টীকরণও নেয়। সেখানে বলা হয়, সামিট পাওয়ার থেকে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালে লভ্যাংশ প্রেরণে উৎসে কর দিতে হবে না। সুবিধাভোগী কোম্পানি হওয়ায় এই ব্যাখ্যা দেয় এনবিআর ২০২৩ সালের শুরুতে। তবে লভ্যাংশ যেহেতু সামিট পাওয়ার তার সুবিধাভোগী কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালে পাঠাচ্ছে না, বরং সামিট করপোরেশন লভ্যাংশ দিচ্ছে সিঙ্গাপুরের এই কোম্পানিকে, তাই এ ক্ষেত্রে আগের স্পষ্টীকরণের মাধ্যমে উৎসে কর না কাটার সুযোগ নেই বলে এ ক্ষেত্রেও ফাঁকি হয়েছে বলে অনুসন্ধানে তথ্য মেলে।
এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি অনুযায়ী, লভ্যাংশের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর কর্তনের বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী সামিট করপোরেশনের ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ মালিকানায় থাকা সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালে লভ্যাংশ পাঠানোর সময়ে ২০১৮-১৯ করবছর থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত ৪৩৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা উৎসে কর কাটা হয়নি। জরিমানাসহ ফাঁকির অঙ্ক এখন দাঁড়িয়েছে ৬৪৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকায়।
সামিট পাওয়ার লিমিটেড এবং সামিট করপোরেশন লিমিটেড এনবিআরের কর অঞ্চল-২-এর অধীন। প্রতিষ্ঠানগুলোর লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে এনবিআরের করনীতি উইং থেকে দেওয়া আগের স্পষ্টীকরণ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করা হলেও তা কার্যকর হয়নি। কর অঞ্চলটির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআরের আগের দেওয়া স্পষ্টীকরণ বাতিল করে নতুন স্পষ্টীকরণও দেয়। যাতে বলা হয়, সামিট পাওয়ার লিমিটেড কর্তৃক সামিট করপোরেশন লিমিটেডকে লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে। একই সঙ্গে, বাংলাদেশের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের বিদ্যমান দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি মতে সিঙ্গাপুরভিত্তিক অনিবাসী কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের অনুকূলে বাংলাদেশে নিবাসী কোম্পানি সামিট করপোরেশন লিমিটেড কর্তৃক লভ্যাংশ প্রদানের বিপরীতে ১৫ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে।
কর ফাঁকি ছাড়াও ব্যবসার নামে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগও রয়েছে এই বিদ্যুৎ মাফিয়ার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত দেশের ২০টি প্রতিষ্ঠানের ২৪টি ভেঞ্চারকে সর্বসাকুল্যে ৬৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন বা প্রায় সাত কোটি ডলার বিদেশে বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৪৫ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার বা সাড়ে চার কোটি ডলার বৈধভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানিয়ে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর বাইরে আর কাউকে এর চেয়ে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। অথচ এই ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আজিজ খানের বা সামিট গ্রুপের নাম নেই। অর্থাৎ আজিজ খান বাংলাদেশ থেকে যত অর্থ বিদেশে নিয়ে গেছেন, তার পুরোটাই অবৈধ।
নিজের নামে এতসব অভিযোগ থাকার পরও সব দায় অস্বীকার করে এক টাকাও বাংলাদেশের নয় দাবি করে সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে বসে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন আজিজ খান। এ সময় তিনি বলেন, ‘সামিট পাওয়ার আর এনার্জির ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সেটা কীভাবে গড়েছি? আমরা সিঙ্গাপুরে কোম্পানি খুলেছি ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে। যার পরিমাণ ১৭৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। এটা আমাদের অন্যতম ‘সোর্স অব ইনকাম’। এটাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে কেন? আমাদের তো লোন দিয়েছে আইএফসি। বরং বাংলাদেশে আমরা ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছি বিদেশ থেকে এনে। যেটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগ। এইচএসবিসি এ জন্য বৃহত্তর বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে অ্যাওয়ার্ডও দিয়েছিল আমাদের ২০২৩ সালে। আমরা তো বিদেশ থেকে বিনিয়োগ করছি। বাংলাদেশ ব্যাংক বা কারো কাছ থেকে টাকা নিইনি। এ বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংক আমাদের সার্টিফিকেট দিয়েছে। আমরা ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার (১৮ কোটি টাকা) যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছি, এটা ‘সার্টিফায়েড বাই ব্র্যাক ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক’Ñ এগুলো ‘এভিডেন্সিয়াল প্রুফ’। আমাদের গর্ব করা উচিত। উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ আমাদের নেই। সিটি ব্যাংকের সার্টিফিকেট রয়েছে বিদেশ থেকে যে ডলার এসেছে। ব্যাংকটি ক্যাশে টাকা গ্রহণ করেছে। আমরা কোনো ব্যাংকের সঙ্গে প্রতারণা করিনি। আমরা কোনো সরকারি সংস্থা থেকেও টাকা আনিনি। সব টাকা আমরা বিদেশি ঋণ থেকে সংগ্রহ করেছি। আইএফসি থেকে ঋণ নিয়েছি। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, সুইজারল্যান্ড এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সি, দ্য নেদারল্যান্ডস এক্সপোর্ট ক্রেডিট
এজেন্সিÑ প্রত্যেকটি বিদেশি ব্যাংক আমাদের সাহায্য করেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে।’
নিজের দক্ষতার সাফাই গেয়ে এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘তারা যখন সামিটের পাওয়ার প্লান্টে গিয়েছে, তারা দেখেছে এগুলো দেশের সবচেয়ে ভালো পাওয়ার প্লান্ট। তারা আমাদের এফএসআরইউ (ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল) দেখেছে। এমনকি বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীও সম্প্রতি আমাদের সামিট এলএনজি টার্মিনাল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আমাদের কর্মকা- দেখে।’
অনেকে অভিযোগ করেন, ‘আজিজ খান বাংলাদেশ থেকে টাকা নিয়ে গেছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো ‘ইলিগ্যাল’ কাজ করিনি। আমাদের আজকের এই অবস্থান আমাদের দিন-রাত পরিশ্রমের ফল। ফোর্বসের তালিকায় যে নাম রয়েছে, সেখানে বলা হয়েছেÑ আমার সব সম্পদ বাংলাদেশে রয়েছে। ফোর্বস বলেনি আমরা বাংলাদেশ থেকে টাকা নিয়ে গেছি। আমাদের সব বিনিয়োগ বাংলাদেশেই রয়েছে। সামিটের মোট মূল্য ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। কমিউনিকেশন আর পোর্টসহ এটা ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। সেটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মূল্যায়ন। সেখান থেকে আমাদের ১ বিলিয়ন ডলার লোন আছে। সেটা বাদ দিলে মোট সম্পদের মূল্য ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। প্রত্যেক মাসে আমরা লোনের সুদ পরিশোধ করছি সময়মতো।
বিদেশের মাটিতে বসে এই সংবাদ সম্মেলনকে চোরের মায়ের বড় গলা উল্লেখ করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ¦ালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ক্ষমতার দাপটে তারা গত ১৫ বছর কী করেছে আমরা দেখেছি। ব্র্যাক ব্যাংক বা সিটি ব্যাংকের যেসব সার্টিফিকেটের কথা তিনি বলেছেনÑ টাকার জোরে এসব সার্টিফিকেট আদায় করা কোনো বিষয়ই না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ আশীর্বাদে বিদ্যুৎ খাতের একক মাফিয়া হয়ে ওঠা এই আজিজ খান এই সময়েও কীভাবে বাংলাদেশে নিজের ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে, সেটাই আমাদের কাছে বিস্ময়। তার যদি নিজের পক্ষে সাফাই গাইতে হয়, দেশের মাটিতে আসুক। তখন দেখা যাবে গলার জোর কত।