- জাস্ট এমনি একটু সাগরপাড়ে আসছি: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- বৈঠকের বিষয়টি গুজব বললেন, ডা. তাসনিম জারা
- মিডিয়া প্রোপাগান্ডারও একটা লিমিট থাকে: সারজিস
- হোটেল ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির বিশেষ দিন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষস্থানীয় পাঁচ নেতা হঠাৎ কক্সবাজারে আসেন। কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্র জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে এই পাঁচ নেতা কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তারা ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার না করে সাধারণ গেট দিয়ে বের হয়ে যান। এনসিপি নেতারা এ সফরে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করবেন এমন গুঞ্জন বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিষয়টি দায়িত্বশীল সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে এনসিপির নেতাদের হঠাৎ কক্সবাজার সফরে রহস্য রয়েছে দাবি করে টিউলিপ হোটেল ঘিরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা দাবি করেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দিনটিতে বিদেশিদের সঙ্গে গোপন বৈঠক রহস্যজনক। বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া জরুরি।
কক্সবাজারে যাওয়া এনসিপির নেতারা হলেন- হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, তাসনিম জারা, খালেদ সাইফুল্লাহ। এনসিপির নেতাদের কক্সবাজারে আসার বিষয় নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানান, দুপুর ১২টার পর পর সবাই ইনানীর রয়েল টিউলিপে অবস্থান করছেন। যতটুকু জানা গেছে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে তারা কক্সবাজার এসেছেন। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নেই। বৈঠকের বিষয়টিও সত্য না।
তবে তারপরও এনসিপির শীর্ষ পাঁচ নেতার কক্সবাজার সফর নিয়ে গুঞ্জন থামেনি। তুমুল আলোচনা হয়েছে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোয়। পরে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন এনসিপির নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, তাসনিম জারা ও সারজিস আলম।
মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী গণমাধ্যমকে বলেন, কারো সঙ্গে দেখা করতে নয়, হুট করে ঘুরতে আসছিলাম, পদযাত্রাতে টায়ার্ড হয়ে গেছিলাম। জাস্ট এমনি একটু সাগরপাড়ে আসছি। বাট এখানে আইসা দেখি, হোটেলে চেক ইন করে মাত্র বসছি, এর মধ্যেই এ নিউজ দেখতেছি।
তিনি আরও বলেন, এটা টোটালি একটা গুজব, মিস ইনফরমেশন, এ ধরনের কোনো কিছুই না, মিডিয়া প্রোপাগান্ডা। এখানে আইসা শুনছি, পিটার হাসের সঙ্গে নাকি আমরা দেখা করতে আসছি। এ রকম হলে তো আমরা ঢাকায়ই দেখা করতে পারতাম। যদি দেখা করার ইচ্ছা থাকত। এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা গণমাধ্যমকে বলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তথ্যটি সঠিক নয়। বিভিন্ন মিডিয়াতে যে নিউজ প্রচার হচ্ছে, তা গুজব ছাড়া আর কিছু নয়।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, মিডিয়া প্রোপাগান্ডারও একটা লিমিট থাকে। ন্যূনতম পেশাদারিত্ব তো থাকা উচিত! নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টের কমেন্টে তিনি এ কথা লেখেন। ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘লন্ডনে পলাতক নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডজনখানেক শীর্ষ নেতারা, সেখানে আছেন....’।
রয়েল টিউলিপ হোটেলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগাম ঘোষণা বা রুম বুকিং ছাড়াই গতকাল দুপুরে এনসিপির এ চার নেতা হোটেলে আসেন। তার ভাষায়, পিটার হাস হোটেলে আসেননি, কিংবা এখানে নেই।