এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের চাওয়া অবশেষে পূরণ হতে যাচ্ছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশ্বস্ত একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তবে এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (অর্থ ও ক্রয় উইং) প্রফেসর গোপীনাথ পাল কোন তথ্য দিতে পারেননি।
তিনি রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘এটা নিয়ে এখনও আমার কাছে অথেন্টিক (নির্ভরযোগ্য) তথ্য নেই। অথেন্টিক তথ্য ছাড়া এ বিষয়ে কোন কথা বলতে পারি না।’
এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উইং) প্রফেসর ড. একিউএম শফিউল আজমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবি বহুদিন দিন ধরে ছিলো শিক্ষকদের। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আশ্বাস দেওয়া হলেও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফলে শিক্ষকরা এ নিয়ে ব্যাপক মনোক্ষুণ্ন ছিলেন।
মাউশি সূত্র জানায়, শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলমান আছে। প্রক্রিয়া শেষ হলেই এই বিষয়ে ঘোষণা আসবে।
এদিকে সম্প্রতি শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করে সরকার। বাড়তি বেতনসহ সেই টাকা আগামী সোমবার (০৪ আগস্ট) অথবা মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) ইএফটির (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) মাধ্যমে দেয়া হবে বলে রূপালী বাংলাদেশকে জানিয়েছেন মাউশি পরিচালক (অর্থ ও ক্রয় উইং) প্রফেসর গোপীনাথ পাল।
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, সবচেয়ে নিচের গ্রেডে থাকা স্কুলের কর্মচারীরা- যেমন আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেতন বাড়ছে।
জুনিয়র শিক্ষকদের বেতন ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়বে। সহকারী শিক্ষক, যারা সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করছেন তাদের বেতন এক হাজার ২০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা বাড়বে।
দীর্ঘদিন ধরে চাকরিরত সহকারী শিক্ষকদের বেতন আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। ক্ষেত্র বিশেষে সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে দুই থেকে চার হাজার টাকা বাড়বে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন প্রায় সাত হাজার টাকার মতো বৃদ্ধি পাচ্ছে।