ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি আজ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০৭:১৪ এএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু ভবন। ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের শুনানি হবে আজ বুধবার। গতকাল মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এ বিষয়ে আদেশ দেন। এদিকে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা চলছে বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে চেম্বার জজ জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে না। ফলে এই মুহূর্তে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন বা পরিচালনার ক্ষেত্রে আইনি কোনো বাধা নেই। এর আগে গত সোমবার বিচারপতি হাবিবুল গনির নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন। তবে একই দিন বিকেলে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী শিশির মনির জানান, লিখিত আবেদন গ্রহণ করে চেম্বার জজ হাইকোর্টের আদেশকে সিএমপি ফাইল করেছেন এবং শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে নির্বাচন, প্রচারণা, ক্যাম্পেইনসহ সব কার্যক্রম চালিয়ে যেতে কোনো আইনি বাধা থাকছে না।

ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। স্বাধীনতার পর মাত্র সাতবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ ভোটগ্রহণ হয় ২০১৯ সালে।

এদিকে, গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ডাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র, নারী হেনস্তা, চবি ও বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে অব্যাহত মিথ্যাচারের প্রতিবাদে শিবির এ কর্মসূচি পালন করছে। 

তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদের তপশিল ঘোষণায় একটি পক্ষের আঁতে ঘা লেগেছে। তারা ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধে কালো থাবা মারার চেষ্টা করছে। 

দেশের বাইরে থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করার অপচেষ্টা চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রশাসনও তাদের ইশারায় চলছে। ইতিমধ্যে ডাকসু নির্বাচন বন্ধে তারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েছে, যা এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। 

তিনি দাবি করেন, ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ট্যাগিং, সাইবার বুলিং করা হচ্ছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে অশ্রাব্য ভাষায় হেনস্তা করা হচ্ছে।