শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সেলিম আহমেদ ও রেদওয়ান সাগর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ১১:১২ পিএম

জাকসু নির্বাচন 

বর্জন বিশৃঙ্খলা অনিয়মের ভোট

সেলিম আহমেদ ও রেদওয়ান সাগর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ১১:১২ পিএম

বর্জন বিশৃঙ্খলা অনিয়মের ভোট

দিনভর নানা অনিয়ম, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে কয়েকটি হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ, সীমাহীন অব্যবস্থাপনা আর দিনশেষে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে ছাত্রদল, বামদের চার প্যানেলের ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। ৩৩ বছর পর জাকসুর এই ভোট আয়োজন নিয়ে প্রশাসনেরও ছিল নানা গাফিলতি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভোট  নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও ছিল না খুব একটা উচ্ছ্বাস। বিভিন্ন প্যানেলের ভোট বর্জনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকও নানা অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ২১টি হলে একযোগে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত। জাকসুতে এবার ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন ভোটারের মধ্যে ৭,৯৩৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। রাত ১১টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোট গণনা চলছিল। ফল প্রকাশ হতে ডাকসুর মতো মধ্যরাত পেরিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হল থেকে ঘোষণা করা হবে ফলাফল। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোট শুরুর দুই ঘণ্টা পরই শুরু হয় ঝুমবৃষ্টি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভোটারদের ভিড়। তবে নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকলে ক্যাম্পাসে ছিল না উচ্ছ্বাস ও উৎসব। নিজ নিজ হলে ভোট হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ভোট দিয়েই রুমে চলে গেছেন। তবে কোনো কোনো হলে ছিল শিক্ষার্থীদের একটু জটলা। 

নানা শঙ্কা আর অনিশ্চয়তার পরও ভোট দিতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা। কেউ কেউ বলেছেন, এই ভোট দিয়ে তারা ইতিহাসের অংশ হয়েছেন। নির্বাচিতদের কাছে তাদের প্রত্যাশাও অনেক।

দর্শন ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফা বলেন, ৩৩ বছর পর জাকসুর নির্বাচন হচ্ছে, এতে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। অবশ্যই যোগ্য প্রার্থীরা নির্বাচিত হবেন। আমরা চাই নির্বাচিত হয়ে বিজয়ীরা তাদের নির্বাচনি ইশতেহার পূরণ করুক। আমরা কিন্তু পূরণ করা সম্ভব নয় এমন ইশতেহার চাইনি। ক্যাম্পাসবান্ধব, শিক্ষার্থীবান্ধব ইশতেহারই আমরা চেয়েছি। বিজয়ীরা ইশতেহারগুলো বাস্তবায়ন করুকÑ এটাই চাই।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আরশি চাকমা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে আগ্রহ ছিল সেটি আজ পূরণ হলো। ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সময় বহু শিক্ষার্থী নির্বাচন দেখতে পারিনি। আমি ভেবেছিলাম আমরাও দেখতে পারব না। কিছুদিন পর আমাদের মাস্টার্স শেষ। আমাদের ভাগ্য ভালো আমরা এই নির্বাচনে ভোট প্রদানের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি। 

ছাত্রদলসহ ৫ প্যানেলের ভোট বর্জন:

জাকসুর ভোটযুদ্ধে এবার অংশ নিয়েছে পূর্ণাঙ্গ ও আংশিক মিলিয়ে ৮টি প্যানেল। এর মধ্যে ভোট চলাকালেই ছাত্রদলসহ ৫টি প্যানেল ভোট বর্জন করেছে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগে সাড়ে ৩টার দিকে নির্বাচন বর্জন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। তাদের অভিযোগ, ব্যাপক অনিয়ম, ভোট কারচুপি ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের কারণে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
ভোট বর্জনের জন্য জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের আশঙ্কা ছিল এটি সাজানো নির্বাচন হবে। আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, কিন্তু প্রশাসন আমাদের দাবি উপেক্ষা করেছে।’

এ সময় তিনি বিভিন্ন হলে ভোটগ্রহণে অনিয়ম, জালভোট, নকল ব্যালট ব্যবহার, পোলিং এজেন্টদের কাজে বাধা দেওয়া এবং শিবির-সমর্থিত প্রার্থীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। 

ছাত্রদল ভোট বর্জনের পর নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকা ও ছাত্রশিবিরকে ভোট জালিয়াতিতে সহযোগিতার অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় বাম-প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের চারটি প্যানেল। দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

কয়েকটি হলে ভোট চলাকালে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরে চারটি প্যানেলের পক্ষে এ ঘোষণা দেন ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শরণ এহসান। এতে ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট প্যানেল সংহতি জানায়।

শরণ এহসান তার বক্তব্যে বলেন, ‘পুরো নির্বাচনের ক্রেডিবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একটি সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় জাকসু নির্বাচন আমাদের আজীবনের দাবি।’

পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরপরই ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। বেলা যত বাড়ে অভিযোগ ততই বাড়তে থাকে। ছাত্রদল অভিযোগ করে, শিবিরের প্যানেলের প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ভোট গ্রহণের সময় লিফলেট বিতরণ করেন। নির্বাচনের ব্যালট পেপার জামায়াতকর্মীর প্রতিষ্ঠানে তৈরি এবং জামায়াতকর্মীর প্রতিষ্ঠানে ব্যালট পেপার তৈরির কারণে শিবির এক্সট্রা সুবিধা পেয়েছেন বলে তারা জানান। এছাড়াও তারা শিবিরের উপর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ভোট কারচুপির অভিযোগ আনেন। অন্যদিকে একই বিষয়ে ছাত্রদলের উপর অভিযোগ আনেন ইসলামী ছাত্রশিবির। তারা অভিযোগ করেন, সঠিক তথ্যকে বিকৃত করে অপপ্রচার করেন ছাত্রদল। তারা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলকে সুবিধা দিতে সব ব্যবস্থা করেছে। তারা দাবি করেন, যে প্রতিষ্ঠানে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে সেটি জামায়াতের নয় বরং বিএনপি সমর্থকের। এর বাইরে বাম দলগুলোও ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনেছে।

ভোটে নানা অব্যবস্থাপনা

জাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনেছেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলে (বর্তমানে ১০ নম্বর), মীর মশাররফ হোসেন হল, ফজিলাতুন নেসা হলে সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পৌনে এক ঘণ্টা পিছিয়ে শুরু সকাল পৌনে ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এরপর সাড়ে ১০টার দিকে দেখা দেয় বৈদ্যুতিক গোলযোগ। ভোট গ্রহণ শুরুর পরপরই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় মওলানা ভাসানী হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল, ফজিলতুন্নেছা হল, এ এফ এম কামালউদ্দিন হল, প্রীতিলতা হল এবং বীর প্রতীক তারামন বিবি হলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

ফলে অন্ধকারের মধ্যেই মোবাইলের আলো দিয়ে ২৫ মিনিট চলে ভোটগ্রহণ। ব্যালট আসতে দেরি হওয়ায় ওই কেন্দ্রে ভোট শুরু করতে দেরি হয়েছে বলে জানান নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের সদস্য ফজলুল করিম পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনকে। কেন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে সে বিষয়ে অবগত নই।’

এছাড়াও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে মোট ভোটার থেকে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ছাত্রদল-শিবিরসহ কয়েকজন প্রার্থী। ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ৫-৬টি কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের হাতের আঙুলে মার্কার দিয়ে দাগ দেওয়া হয়নি। আবার কোনো কোনো কেন্দ্রে দাগ লাগালেও তা দ্রুত মুছে গেছে। এছাড়াও পোলিং এজেন্টদের দেওয়া হয়নি কোনো কার্ড। কাজী নজরুল ইসলাম হলের ছাত্রদলের এজেন্ট জিসান বলেন, নির্বাচনে কোনো পোলিং এজেন্টদের কার্ড দেওয়া হয়নি। এছাড়াও আমার হলে ভোট দেওয়ার পর মার্কার দিয়ে দাগ দেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন কেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশেও বাধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা গতকাল থেকে দেখতে পেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।’

এছাড়াও ওএমআর মেশিনে স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে ভোট গণনার পরিকল্পনা থাকলেও শেষদিকে এই এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাতে গণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্য ড. সালেহ আহম্মদ খান জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে মেশিনে ভোট গণনা নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই জাকসুতে এবার সব ভোট হাতে গণনা করা হচ্ছে। 

নির্বাচনে ব্যালট পেপারেও ছিল ভুল। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে কার্যকরী সদস্য পদে ৩ জন প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা থাকলেও ব্যালটে দেওয়া নির্দেশনায় কেবল একজন প্রার্থীর পাশে টিকচিহ্ন দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।

হলের পোলিং কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার ম-ল বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা দ্রুত নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হয়েছে, তারা যাতে নিয়ম মেনে তিনজন প্রার্থীকে ভোট দেন।’

দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ

নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হলে (বর্তমান ১৫নং) দুইবার করে বেশ কিছু সময় ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও হট্টগোলের কারণে সোয়া ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বঙ্গমাতা হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। আর দুপুর ১২টা থেকে ২০ মিনিটের মতো ভোট বন্ধ ছিল তাজউদ্দিন হলে। হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক লুৎফুল এলাহী বলেন, বেলা পৌনে ১২টার দিকে কেন্দ্রে কিছুটা সমস্যা দেখা দিলে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

তিন শিক্ষকের ভোট বর্জন

নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বিএনপিপন্থী তিন শিক্ষক। বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, নজরুল ইসলাম ও নাহরিন খান।

অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে অতিরিক্ত ব্যালট সরবরাহ করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয়নি। দায়িত্বরতরা বলেছে, অতিরিক্ত ব্যালেট ছিঁড়ে ফেলতে। ভোট শেষে ভোটারের আঙ্গুলে কালো কালির ছাপ দেয়ার কথা, সেটাতে তারা যে মার্কার সরবরাহ করেছে, তা দিয়ে ছাপ দেয়া সম্ভব নয়। এ অবস্থায় আমাদের মনে হয়েছে, আমরা নির্বাচন চালিয়ে যেতে পারি না।

রবীন্দ্রনাথ হল থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আটক

নির্বাচন চলাকালে ক্যাম্পাসে অবৈধভাবে অবস্থান করার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান সোহানকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ছাত্রদল নেতা সোহান বিশ্ববিদ্যালয়টির ইংরেজি বিভাগের ৩৬তম ব্যাচের (২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষ) সাবেক শিক্ষার্থী। আটকের পর ছাত্রদলের ওই নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!