ক্রটিপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা ও ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করছেন জাকসুর নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, নির্বাচনে আমি অনেক অনিয়ম দেখেছি। অনেক মারাত্মক ত্রুটি দেখেছি। এই ত্রুটিগুলো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এরকম পরিস্থিতিতে আমি নির্বাচন কমিশনের সকলে একমত পোষণ করলেও বিশেষ কিছু কারণে আমার যে মতামত তা গ্রহণে তারা অপারগতা প্রকাশ করেছে। নির্বাচন কমিশন আমার মতামতের সুরাহা না করেই ভোট গণনা শুরু করেছে, তখন আমি আমার যে মত তা লিখিতভাবে জানিয়েছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে আমরা যা বুঝি নির্বাচনে সেটি ছিল না। আমি যাতে পদত্যাগ না করে সেজন্য গতকাল থেকেই আমার ওপর চাপ ছিল, তবুও আমি পদত্যাগ করছি।
এছাড়াও নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও প্রশাসনের পক্ষপাতের অভিযোগ উঠায় নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইনও। তিনি বলেছেন, ‘জাকসু নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। প্রচুর কারচুপির অভিযোগ উঠেছে প্রায় সব মহলেই। এ নির্বাচন স্থগিত করা উচিত।’ এর আগে বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, নজরুল ইসলাম, ও নাহরিন খান।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন