পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) জুবায়েদ হোসাইন নামে এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে টিউশনিতে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জবির এই ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আরমানিটোলার পানির পাম্প গলিতে জোবায়েদ যে বাসায় টিউশনি করতেন সে বাসায় তার লাশ পাওয়া যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে জুবায়েদ হোসাইন নিহত হয়েছেন। ওই বাসাটিই ছিল তার টিউশনের বাসা। এখনো মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা তদন্ত করছি।’
নিহত জোবায়েদ জবির পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। জগন্নাথের ১৫তম আবর্তনের এই শিক্ষার্থী ছাত্রদলের রাজনীতির পাশাপাশি কুমিল্লা জেলা ছাত্র সমিতিরও সভাপতি ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘মৃত্যুর খবর শুনেছি। এখনো কারণ জানা যায়নি। খুবই বেদনাদায়ক এটি। পুলিশকে সব সিসিটিভি ক্যামেরা দেখতে বলেছি।’ আরমানিটোলার যেই ভবনের সিঁড়িতে জোবায়েদের লাশ পাওয়া যায় সেটির সামনে জড়ো হন তার সহপাঠী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সেখানে তারা বিক্ষোভ করেন।
জগন্নাথের ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে এসে দেখি আরমানিটোলার নূর বক্স লেনের একটি বাসার তিন তলার সিঁড়িতে ওর রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। নিচতলা থেকে তিনতলার সিঁড়ি পর্যন্ত রক্তে মাখামাখি অবস্থা। কিন্তু এতবড় ঘটনা ভবনে ঘটলেও এখানকার কোনো ভাড়াটে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। আমরা মনে করি এটা পরিকল্পিত হত্যা। তাকে ডেকে এনে এখানে হত্যা করা হয়েছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।’
ঘটনাস্থলে থাকা জবির দশম বর্ষের শিক্ষার্থী মুন্না বলেন, ‘এই ভবনের পাঁচতলায় উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে পড়াতেন জোবায়েদ। এখানেই তাকে পিটিয়ে বা ছুরিকাঘাতে মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু ওই বাড়ির কেউ বলতে পারে না তার সাথে কী হয়েছে। এটা খুব আশ্চর্যের বিষয়। এই বাড়িতে কোনো সিসি ক্যামেরা নাই। পাশের বাড়ির সিসি ক্যামেরায় পেছন থেকে দুজন লোককে দৌড়াতে দেখা গেছে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন