সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শহিদুল ইসলাম রাজী

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ১২:১৭ এএম

‘পরিকল্পিত’ আগুনে দেশকে অস্থিতিশীল করার নীলনকশা

শহিদুল ইসলাম রাজী

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ১২:১৭ এএম

‘পরিকল্পিত’ আগুনে দেশকে  অস্থিতিশীল করার নীলনকশা

  • গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার
  • স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে সরকারের কোর কমিটি
  • কার্গো ভিলেজে আগুন ‘পরিকল্পিত’: কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন
  • নাশকতা সন্দেহে একযোগে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো

দেশে সম্প্রতি বড় তিনটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জনমনে সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। বিমানবন্দরের মতো সুরক্ষিত এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি অগ্নি নিরাপত্তাব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। গুরুত্বপূর্ণ এসব স্থাপনা বা কেপিআইয়ের (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) সুরক্ষা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ছড়িয়েছে সন্দেহের ডালপালা। সামাজিক মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। প্রশ্ন উঠেছে, এসব ঘটনা শুধুই কি দুর্বল অগ্নি নিরাপত্তাব্যবস্থার পরিণতি, নাকি ‘পরিকল্পিত’ আগুনে দেশকে অস্থিতিশীল করার কোনো গভীর নীলনকশা? কেউ কেউ বলছেন, আগুনের ঘটনাগুলো সন্দেহজনক। কেউ বলছেন, এগুলো সাবোট্যাজ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। একই সন্দেহ করছেন দেশের প্রায় সব গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও।

গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড, এর আগে চট্টগ্রাম ইপিজেড ও মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের  ঘটনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা কেপিআই সুরক্ষার জন্য সারা দেশে পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকা- তদন্তে স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনিকে প্রধান করে একটি কোর কমিটি গঠন করেছে সরকার। সরকারের তরফ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা উসকানির মাধ্যমে জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বিঘিœত করার সুযোগ দেওয়া হবে না।

এদিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের ভয়াবহ অগ্নিকা- পরিকল্পিত বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, এই অগ্নিকাণ্ড দেশের শিল্পকারখানা, আমদানি-রপ্তানি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বিপর্যস্ত করে জাতীয় অর্থনীতি অচল করার একটি ‘পরিকল্পিত নীলনকশার’ অংশ হতে পারে। তবে বাণিজ্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘বিমানবন্দরে অগ্নিকা-ের ঘটনা তদন্তের ক্ষেত্রে নাশকতাসহ আমরা কোনো কিছুই উড়িয়ে দেব না, সবকিছুই আমলে নেওয়া হবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডের লেলিহান শিখা কেড়ে নিচ্ছে মানুষের জীবন ও মূল্যবান সম্পদ। এসব ঘটনার পর বারবারই প্রশ্ন উঠছেÑ এগুলো নিছক দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনো নাশকতার ইন্ধন? ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, অধিকাংশ অগ্নিকা-ের কারণ দুর্ঘটনাজনিত হলেও এর ভয়াবহতা এবং ঘন ঘন পুনরাবৃত্তি জনমনে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ভয়াবহ অগ্নিকা- এই উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিমানবন্দরে অগ্নিকা-ের আগে গত ১৪ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুরে রূপনগর শিয়ালবাড়িতে একটি রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকা- ঘটে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি পোশাক কারখানায়। এতে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যান ১৬ জন শ্রমিক। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই গত ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) একটি আটতলা ভবনে থাকা চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। পরে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ১৭ ঘণ্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। চট্টগ্রামের অগ্নিকা-ের এক দিন পর গত শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সুরক্ষিত কার্গো হাউসে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকা-ের পর দেশের প্রধান এই বিমানবন্দর দিয়ে সব ধরনের বিমান ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল রোববার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে আগুন নির্বাপণ করে ফায়ার সার্ভিস। এর আগে ওই রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে যদি ডিটেকশন ও প্রটেকশন সিস্টেম থাকত, তাহলে এত বড় দুর্ঘটনা হতো না। এমন কোনো ব্যবস্থা আমরা পাইনি। ভবিষ্যতে এখানে এ ধরনের সিস্টেম স্থাপন করা জরুরি।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার: দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) লক্ষ্য করে হামলার আশঙ্কা রয়েছেÑ এমন তথ্যের ভিত্তিতে দেশের সব মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলা পুলিশকে সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিমানবন্দরে আগুন লাগার পর মৌখিক নির্দেশে কেপিআই এলাকাগুলোয় অতিরিক্ত টহল ও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। জেলা পর্যায়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তদারকির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম গতকাল সাংবাদিকদের জানান, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সারা বছরই নিরাপত্তা জোরদারে নির্দেশনা থাকে। কেপিআই এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে।

সরকারি সূত্র জানায়, বর্তমানে সারা দেশে বঙ্গভবন, গণভবন, জাতীয় সংসদ, সচিবালয়, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ৫৮৭টি স্থাপনা কেপিআই হিসেবে চিহ্নিত। এসব স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০১৩ সালের সংশোধিত নীতিমালায় নিয়মিত টহল, প্রতিবেদন পাঠানো, সিসিটিভি, ভেহিক্যাল সার্চ মিরর ও লাগেজ স্ক্যানার স্থাপনের নির্দেশ রয়েছে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, ‘শনিবার রাতের নির্দেশনার পর অনেক জায়গায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।’ এ ছাড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার বাড়ানোর জন্যও তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ সুপার।

বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুনের ঘটনার পর সতর্কতার অংশ হিসেবে কেপিআইয়ের নিরাপত্তা আগের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে বলে একাধিক সরকারি সূত্রও নিশ্চিত করেছে।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিকা-ের পরিপ্রেক্ষিতে সব গোয়েন্দা সংস্থা মিলে একটি বৈঠক হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব অগ্নিকা- দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। বিমানবন্দরের ঘটনায় আমরা তথ্য নিচ্ছি। আমাদের টিম কাজ করছে। আর মিরপুরের আগুন নিরাপত্তাজনিত কারণে। এমনিতে ঘিঞ্জি এলাকা, তার ওপর একই গোডাউনে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল রাখা ছিল।’

গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কয়েকটি বড় অগ্নিকা-ের ধরন দেখে আমাদের মনে হচ্ছে, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে। বিমানবন্দরের ঘটনাটি বেশি সন্দেহ করা হচ্ছে। সরকারের হাইকমান্ড থেকে নির্দেশনা এসেছে জোরালোভাবে তদন্ত করার। আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। আগুন লাগার ঘটনাস্থল ও আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।’

স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে সরকারের কোর কমিটি: গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম সাংবাদিকদের জানান, ঢাকার বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের ইপিজেডসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকা- তদন্তে স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনিকে প্রধান করে একটি কোর কমিটি গঠন করেছে সরকার।

তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব অগ্নিকা- ঘটছে, তা ১২ সদস্যের এই কমিটি খতিয়ে দেখে একটি প্রতিবেদন দেবে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনাগুলো নাশকতামূলক কি নাÑ জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। এই কমিটি আগামী ৫ নভেম্বর আবার বৈঠকে বসবে। এর আগে প্রতিবেদন পাওয়া যেতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকটি বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিল আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রধান, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

অর্থনীতি অচলের নীলনকশা: শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকা- নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, এই অগ্নিকা- দেশের শিল্পকারখানা, আমদানি-রপ্তানি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকা- বিপর্যস্ত করে জাতীয় অর্থনীতিকে অচল করার একটি ‘পরিকল্পিত নীলনকশার’ অংশ হতে পারে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘শনিবারের আগুনে বিমানবন্দরের আমদানি পণ্যের গুদাম ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিস যথাসময়ে পৌঁছাতে না পারায় ক্ষয়ক্ষতি আরও বেড়েছে।’

তিনি আরও জানান, বর্তমানে গুদামটি সম্পূর্ণ অচল অবস্থায় রয়েছে। সংস্কার ছাড়া সেখানে আমদানি কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা সম্ভব নয়। ‘এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে দেশের শিল্প ও বাণিজ্যব্যবস্থাকে পঙ্গু করার অপচেষ্টা হতে পারে’ বলে জানান তিনি।

অ্যাসোসিয়েশনটি আরও জানিয়েছে, এই অগ্নিকা-ের পেছনে দেশের অর্থনীতিকে অচল করার কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তা গভীরভাবে তদন্ত করা প্রয়োজন।

কার্গো ভিলেজে অগ্নিকা- দুর্ঘটনা, নাকি নাশকতাÑ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘সবকিছু আমলে নিয়েই অনুসন্ধান চালানো হবে। যত ধরনের অভিযোগ আছে, প্রতিটি অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘ক্যাটালগিং কমিটি করা হয়েছে, যারা আগুনের পূর্ববর্তী ও বর্তমান অবস্থাসহ পুরো ঘটনার ক্যাটালগিং করবে। পরে গোয়েন্দা সংস্থাসহ অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে এর রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করব।’

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এবং অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, বিমানবন্দর ও ইপিজেডের মতো জায়গায় লম্বা সময় ধরে আগুন জ¦লা খালি চোখে দেখার কোনো সুযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তদন্ত সংস্থার প্রধান কাজ হচ্ছে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে প্রতিটি আগুনের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা।

তিনি আরও বলেন, আগের বছরগুলোর আগুনের ঘটনায় সঠিক তদন্ত না হওয়ায় স্বাভাবিক আগুনের ঘটনায়ও মানুষের মনে সন্দেহ জাগে। পুলিশ বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে দ্রুত এসব ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করা। তবে জননিরাপত্তার প্রশ্নে মানুষকে আশ্বস্ত না করতে পারলে সামনে আমরা যে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছি, তা নিয়েও নানা ধরনের সন্দেহ দেখা দিতে পারে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!