শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম

উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন

গুম কমিশন হচ্ছে না, দায়িত্ব পালন করবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম

গুম কমিশন হচ্ছে না, দায়িত্ব পালন  করবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘আলাদা করে গুম কমিশন করব না, মানবাধিকার কমিশন ওই দায়িত্ব পালন করবে, সেই বিধান আইনে রাখা হয়েছে।’ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা এ তথ্য জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক. ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের একটা মানবাধিকার কমিশন ছিল। এটা দন্তহীন একটা প্রতিষ্ঠান ছিল এবং সেখানে গুরুতর কিছু সমস্যা ছিল। কমিশনে নিয়োগের যে পদ্ধতি, সেটার মধ্যে ত্রুটি ছিল। কমিশনের যে এখতিয়ার, সেখানে মারাত্মক ঘাটতি ছিল।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া সেখানে এমন সব লোক বসানো হয়েছিল, তারা তাদের আইনগত এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারেননি বা করেননি। আমরা এই অধ্যাদেশকে অনেক বেশি শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছি। মানবাধিকার কমিশন যাতে সত্যিকারের এখতিইয়ারসম্পন্ন, ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হয় এবং যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ভূমিকা রাখতে পারে, সেভাবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছি।’

আসিফ নজরুল বলেন, অধ্যাদেশের কয়েকটা উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছেÑ মানবাধিকারের সংজ্ঞা সম্প্রসারিত করে বাংলাদেশ কর্তৃক অনুসমর্থিত প্রচলিত আইন দ্বারা বলবৎযোগ্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলে ঘোষিত বা প্রথাগত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন দ্বারা স্বীকৃত মানবাধিকারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ, আমাদের সংবিধানে যে মৌলিক অধিকার আছে, তার বাইরেও বাংলাদেশ যেসব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি অনুসমর্থন করেছে বা পক্ষভুক্ত হয়েছে, এমনকি আন্তর্জাতিক আইনে মানবাধিকারের যেসব ধারণা আছে, সেগুলো বলবৎ করার ক্ষেত্রেও মানবাধিকার কমিশন ভূমিকা রাখতে পারবে। আর মানবাধিকার কমিশন গঠিত হবে একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য দ্বারা। প্রথমে বলা হয়েছে সাতজনের, কিন্তু আজকে সিদ্ধান্ত হয়েছে পাঁচজনের হবে। পাঁচজনই সার্বক্ষণিক থাকবেন। আর চেয়ারপারসন ও কমিশনারদের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রদান করার জন্য আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটা বাছাই কমিটি করার বিধান করা হয়েছে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘নিয়োগ পদ্ধতি একটু বদলানো হয়েছে। একটা গণবিজ্ঞপ্তি যাবে, একই সঙ্গে কমিশনের জন্য কিছু নাম সংগ্রহ করা হবে। উচ্চ আদালতের বিচারকদের নিয়োগের মতোই আইনটি করা হয়েছে। বাছাই কমিটি সাক্ষাৎকার নিয়ে নিয়োগ প্রদান করবে। আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সীমাবদ্ধতা ছিল। শৃঙ্খলা বাহিনীসহ আরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমিশনের তদন্তের এখতিয়ারের ঘাটতি ছিল। আমরা বলেছি, শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় কমিশনকে তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার এবং গুমের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা আইনসহ মানবাধিকার সংরক্ষণমূলক যে কোনো আইনের মূল দায়িত্ব মানবাধিকার কমিশনকে প্রদানের সুযোগ রাখা হয়েছে।’ এ সময় তিনি জানান, গুমসংক্রান্ত আইন আজকে চূড়ান্ত করা যায়নি। সামনের সপ্তাহে আশা করি হয়ে যাবে। আমরা আসলে আলাদা করে গুম কমিশন করব না, মানবাধিকার কমিশন ওই দায়িত্ব পালন করবে, সেই বিধান আইনে রাখা হয়েছে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!