জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতা না হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না-ও হতে পারেÑ এমন আশঙ্কা রাজনৈতিক অঙ্গনে বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার বারবার আশ্বস্ত করছে যে, যেকোনো পরিস্থিতিতেই জাতীয় নির্বাচন আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির আগেই অনুষ্ঠিত হবে।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সনদ বাস্তবায়ন, গণভোটের সময় এবং সাংবিধানিক আদেশ জারি নিয়ে রাজনৈতিক বিভাজন আরও গভীর হয়েছে। বিএনপি একদিকে চাইছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হোক, অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী এখনো নভেম্বর মাসেই গণভোটের দাবি নিয়ে অনড় অবস্থানে আছে। ফলে বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান এখনো একমুখী নয়। তবে সরকারের অবস্থান অনেকটাই সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের পক্ষে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক সংকট নিরসনে নতুন সমঝোতা উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন উপদেষ্টা সম্প্রতি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকের পর গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রীপাড়ায় উপদেষ্টারা নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত তারা কোনো চূড়ান্ত সমাধান খুঁজে পাননি।
জানা গেছে, রাজনৈতিক সমঝোতা সফল হলে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত সাংবিধানিক আদেশ জারি করা হবে। তাদের মতে, এই প্রক্রিয়াই নির্ধারণ করবেÑ নির্বাচন সময়মতো হবে কি না। গত বৃহস্পতিবারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেই এই উদ্যোগের সূচনা হয়। আলোচনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, প্রশাসন ও পুলিশের রাজনৈতিক আনুগত্য এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, দলগুলোর মধ্যে যে হঠকারিতা কাজ করছে, তাতে জাতীয় নির্বাচন সময়মতো হবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহবুবুর রহমান মনে করেন, ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে, যেহেতু সরকারপ্রধান বারবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সরকার যদি তার অবস্থানে অটল থাকে, তাহলে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। তবে যদি কোনো শক্তির প্রভাবে সরকার প্রভাবিত হয়, তাহলে অনিশ্চয়তার দিকেই যাবে পরিস্থিতি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জুলাই জাতীয় সনদ এখন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হলেও এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। তাদের মতে, জুলাই সনদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে দেরি হলে নির্বাচনের সময়সূচিও ঝুঁকির মুখে পড়বে। সরকার যদি ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে চায়, তবে এখনই স্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। আর সমঝোতা ব্যর্থ হলে রাজনৈতিক বিভাজন আরও গভীর হবে এবং নির্বাচনের আগে দেশে প্রশাসনিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও গণভোটের সময় নির্ধারণই এখন জাতীয় নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। রাজনৈতিক সমঝোতা ব্যর্থ হলে ১৫ ফেব্রুয়ারির আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন অনিশ্চিত হয়ে পড়বেÑ এমন আশঙ্কা এখন শুধু রাজনৈতিক মহলেই নয়, প্রশাসনিক স্তরেও ছড়িয়ে পড়েছে। তাই বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সংবিধান সংস্কারের এই সন্ধিক্ষণে, জুলাই সনদের বাস্তবায়নই হয়তো ঠিক করে দেবেÑ নির্বাচন হবে, নাকি আবারও রাজনৈতিক অচলাবস্থার নতুন অধ্যায় শুরু হবে।
গণভোটের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রধান বিরোধ তৈরি হয়েছে। জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন চায় নির্বাচনের আগেই নভেম্বর মাসে গণভোট। অন্যদিকে বিএনপি চায় নির্বাচনের দিনেই এটি আয়োজন করা হোক। বিএনপির অভিযোগ, জামায়াতসহ কিছু দল গণভোটকে নির্বাচন বিলম্বিত করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। একই সঙ্গে তাদের অভিযোগ, সনদে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শন-সংক্রান্ত ৪(ক) অনুচ্ছেদ এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র-সংক্রান্ত সপ্তম তপশিল বাতিলের সিদ্ধান্ত এখনো কার্যকর হয়নি।
সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে একজন উপদেষ্টা অভিযোগ করেন, প্রশাসন ও পুলিশ এখনো রাজনৈতিক নির্দেশে কাজ করছে এবং উপদেষ্টাদের নির্দেশ মানছে না। এতে নির্বাচন ও গণভোটের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে তাৎক্ষণিক মন্তব্য না করে বলেন, সব মতামত পর্যালোচনা করে কয়েক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে গত শুক্রবার এক আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ও ঐকমত্য কমিশন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। গণভোট নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের দিনই হবেÑ এই অবস্থানেই আমরা আছি।
একই সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যদি প্রতারক হয়, তবে নির্বাচনের ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু মন্তব্য করেন, দেশকে আবারও দ্বিদলীয় রাজনীতিতে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, গণভোটকে অনেকে সংসদের আসন বণ্টনের হাতিয়ার বানাতে চাইছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দেশ একসঙ্গে দুটি নির্বাচনের ঝুঁঁকি নিতে পারবে না।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, এনসিপি প্রথম থেকেই চায় নির্বাচনটা ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হোক। আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হওয়া সবার জন্যই ক্ষতিকর হবে। তবে বর্তমান সরকার বলছে, তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে চায়। সরকার একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে চাচ্ছে, তার রোডম্যাপ প্রয়োজন, সেটি এখনো ঘোষণা হতে দেখিনি, জনগণের কাছে সেটি এখনো দৃশ্যমান না। একই সঙ্গে কোন বিষয়গুলো সম্পূর্ণ করে নির্বাচন করা হবে সেটাও পরিষ্কার না। সুতরাং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিচার বিভাগের যে দাবি আমাদের ছিল তা চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে হবে বিধায় যেনতেনভাবে নির্বাচন করাটা গ্রহণযোগ্য হবে না। এর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে তার উপযোগী হতে হবে। এই নির্বাচন নিয়ে যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয় তা-ও লক্ষ রাখতে হবে। একই সাথে একই দিনে গণভোট এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে, এমন বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনার সক্ষমতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ইসিসহ উপদেষ্টাম-লীর আছে কি না সে বিষয় ভাবতে হবে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ শুক্রবারের মধ্যেই জারি করতে হবে, নইলে আন্দোলন শুরু হবে।
অন্যদিকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার এখতিয়ার একমাত্র ড. ইউনূসের। তাকে জনগণের সামনে শহিদ মিনারে দাঁড়িয়ে আদেশ জারি করতে হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ উপদেষ্টাই মনে করেনÑ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশটি বাধ্যতামূলক না রেখে নির্দেশনামূলক রাখা উচিত। এতে আগামী সংসদ গঠনের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে পারবে। তারা আরও মত দেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজন করলে রাজনৈতিক বিরোধ কমবে। আইনগত পর্যালোচনায় প্রস্তাব এসেছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫’ রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জারি করা উচিত, প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে নয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দায়িত্ব এখনো প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে।
এদিকে রাজনৈতিক সমঝোতার এই উদ্যোগ মূলত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের সময় নিয়ে বিরোধ মেটানোর জন্যই নেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টারা বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান কাছাকাছি আনতে কাজ করছেন। বিএনপি ১৫টি সংস্কার বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছে। উপদেষ্টারা দলটিকে অনুরোধ করেছেনÑ উচ্চকক্ষের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠনপদ্ধতি বিষয়ে আপত্তি প্রত্যাহার করতে। অপরদিকে জামায়াতকে বলা হয়েছে, তারা যেন নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে অনড় না থাকে।
সূত্র বলছে, বিএনপি কিছু বিষয়ে নরম অবস্থান নিলেও জামায়াত এখনো কঠোর। তারা জানিয়েছে, বিএনপি যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন ও পিআর পদ্ধতি মেনে নেয়, তাহলেই সমঝোতা সম্ভব। সূত্র আরও জানায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টাকে। তাদের মতে, সমঝোতার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি ঢাকায় নয়, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের স্তরে করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকেও প্রধান উপদেষ্টা পিআর পদ্ধতি নিয়ে নমনীয় অবস্থান নিতে বলেছিলেন, কিন্তু তখন বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হয় গত শুক্রবার। এর আগে মঙ্গলবার কমিশন সরকারকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ ও সাংবিধানিক আদেশের দুটি খসড়া হস্তান্তর করেছে। এর মাধ্যমে কমিশনের সাত মাসব্যাপী কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে। ঐকমত্য কমিশন ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাত মাস সংলাপ চালিয়ে ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে ৮৪টিতে ঐকমত্যে পৌঁছায়, কিন্তু ৬১ প্রস্তাবে ভিন্নমত থেকেই যায়। বিএনপি ২২টি মৌলিক সংস্কারের মধ্যে ৯টিতে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেয়।
১৭ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সনদে এই ‘নোট অব ডিসেন্ট’ যুক্ত হয়, যাতে বলা হয়Ñ ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে দলগুলো তাদের ভিন্নমত বাস্তবায়ন করতে পারবে। কিন্তু জামায়াত, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল এই শর্তের বিরোধিতা করছে। তাদের মতে, গণভোটের মাধ্যমে জনগণই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত দেবে, তাই এখন ভিন্নমতের কোনো মূল্য নেই।
বিশেষজ্ঞ মতামত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, দলগুলোর মধ্যে যে হঠকারিতা কাজ করছে, তাতে মনে হয় তারা জাতীয় স্বার্থের চেয়ে দলীয় এজেন্ডাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এতে জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। আর এই সুযোগে পতিত শেখ হাসিনা বা সেনা শাসন ফিরে আসতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দলগুলোর এখন প্রয়োজন নিজেদের জিদ বাদ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। আর এ জন্য দরকার সরকারপ্রধানের শক্ত অবস্থান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবেÑ এ বিষয়ে কোনো সংশয় নেই, কারণ সরকারপ্রধান বারবার তা ঘোষণা দিয়েছেন। তবে মাঠের পরিস্থিতি এখনই বলা যাচ্ছে না, এ জন্য সময়ের অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আশা করা যায়, সরকারপ্রধান সব বিভাজন কাটিয়ে উঠতে পারবেন। তবে আগের নির্বাচন যেমন চ্যালেঞ্জিং ছিল, এবারও সেই চ্যালেঞ্জ থেকেই যাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে, নয়তো এই সরকারের এক্সিট কোথায়?
সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সরকার যদি তার অবস্থানে অটল থাকে, তাহলে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। কিন্তু যদি দেশি-বিদেশি কোনো শক্তি দ্বারা সরকার প্রভাবিত হয়, তাহলে অনিশ্চয়তার দিকেই যাবে পরিস্থিতি। কারণ কিছু শক্তি দুর্বল সরকারকেই তাদের স্বার্থে অনুকূল মনে করে। তাই তাদের প্রভাব ছাড়া সরকার প্রভাবিত হলে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। তবে সরকারপ্রধান দৃঢ়ভাবেই বলে আসছেনÑ সংসদ নির্বাচন সময়মতোই হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন