ঢাকা রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

তপসিলের পর্যালোচনায় ইসি সভায় বসছে আজ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০২:১২ এএম

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তপশিল পর্যালোচনা সভায় বসতে যাচ্ছে এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় নির্বাচন কমিশনে এ সভা হবে, যাতে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত থাকবেন। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তপশিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। আর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই সময়ে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোসহ মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, প্রত্যাহারের শেষ সময় ও ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে আজকের সভায়। ভোটের কাজের সার্বিক বিষয়ে অগ্রগতির পাশাপাশি পোস্টাল ভোটিংয়ের ব্যালট পেপার আনা-নেওয়ার সময়ও চূড়ান্ত হবে এ সভায়।

এর আগে আইনশৃঙ্খলা সভা ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছে ইসি। প্রথা অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির কাছে সার্বিক প্রস্তুতি অবহিত করতে আগামী ১০ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে যাবেন নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটির সদস্যরা। এরপর কয়েকদিনের মধ্যে তপশিল ঘোষণা করবেন সিইসি। ইতোমধ্যে ডিসি, ইউএনওসহ মাঠ প্রশাসন ও এসপি, ওসিসহ পুলিশে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। তপশিল ঘোষণার পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে রদবদল দরকার হলে তাও করবে ইসি। আজকের কমিশন সভার সিদ্ধান্ত ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সব ধরনের প্রস্তুতি অবহিত করে দুই ভোটের তপশিল ঘোষণা করা হবে বলে জানায় ইসি।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোববারের (আজকের) কমিশন সভায় তপশিলের সময়সূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তপশিল চূড়ান্ত করা হবে।’ তিনি জানান, তপসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কারা রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার হচ্ছে তাও প্রজ্ঞাপন আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে। ইসি আনোয়ারুর বলেন, আইন-বিধি-নীতিমালায় নানা ধরনের সংস্কার হওয়া হয়েছে এবার। আইনবিধি শতভাগ প্রতিপালনে ইসির শক্ত অবস্থান থাকবে এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে প্রার্থী, দল, ভোটারসহ সব অংশীজনের সহযোগিতা চান তিনি।

সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ভোট হয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের। ওই বছরের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ নেয় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।

গত বছরের নভেম্বরে এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসি গঠনের পর ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করে। এরমধ্যে গণভোটের বিষয়টিও যুক্ত হয়। দলগুলোর নানা অবস্থানের মধ্যে সরকারের তরফে দুই নির্বাচন একসাথে করার ঘোষণা আগে। প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারের জন্য পোস্টাল ভোটিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট হতে যাচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি ভোটের তপশিল ঘোষণা করবে। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ নিবন্ধিত অর্ধশতাধিক দল রয়েছে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় ভোটের বাইরে থাকতে হচ্ছে দলটিকে।