স্মার্টফোনের স্ক্রিনে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন ব্যবহারকারীদের জন্য বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। গিজচায়নার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা চাইলে সহজ কিছু উপায়ে এসব বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করতে পারেন। চলুন জেনে নেই উপায়গুলো-
নোটিফিকেশন বন্ধ: অনেক সময় কিছু ওয়েবসাইট বারবার নোটিফিকেশন পাঠিয়ে ফোনের সাধারণ কাজে প্রভাব ফেলে। এগুলো বন্ধ করতে, ক্রোম অ্যাপ আইকনে লং প্রেস করে আইকনে চাপ দিতে হবে। তারপর নোটিফিকেশনস> নোটিফিকেশনস ক্যাটাগরিজে গিয়ে ‘সাইটস’ থেকে অচেনা বা অপ্রয়োজনীয় সাইটগুলোর নোটিফিকেশন বন্ধ করতে হবে।
হোম স্ক্রিন থেকে বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলা: কখনো কখনো হোম স্ক্রিনেও বিজ্ঞাপন দেখা যায়। সাধারণত কোনো অ্যাপ ‘অ্যাপিয়ার অন টপ’ অনুমতি পেলে এমনটি ঘটে। যখন বিজ্ঞাপন আসে, তখন বিজ্ঞাপনের ব্যানারে যে অ্যাপের নাম দেখায়, তা লক্ষ্য করতে হবে।
এরপর সে অ্যাপের আইকনে লং প্রেস করে অ্যাপ ইনফোয় গিয়ে অ্যাপিয়ার অন টপ অপশনটি বন্ধ করতে হবে।
লক স্ক্রিনের বিজ্ঞাপন বন্ধ করা: স্যামসাং বা শাওমির অনেক ফোনের লক স্ক্রিনে ‘গ্লান্স’ বা অন্য পরিষেবার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখা যায়। এগুলো বন্ধ করতে সেটিংস >ওয়ালপেপার অ্যান্ড স্টাইল> চেঞ্জ ওয়ালপেপারস> ওয়ালপেপার সার্ভিসেসে গিয়ে ‘নান’ নির্বাচন করতে হবে। এতে লক স্ক্রিনে আর কোনো স্পন্সর করা কনটেন্ট বা নিউজ দেখাবে না।
ডিএনএস সার্ভিস ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন ব্লক করা: ডিএনএস সার্ভিস পুরো ফোনে, এমনকি অ্যাপ ও ব্রাউজারেও বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে পারে। নিরাপদ একটি বিকল্প হলো অ্যাডগার্ড ডিএসএন। এটি চালু করতে সেটিংস >কানেকশনস>মোর কানেকশনস সেটিংস>প্রাইভেট ডিএনএসে যেতে হবে। তারপর ‘প্রাইভেট ডিএনএস প্রভাইডার হোস্ট নেম’ নির্বাচন করে ফহং.ধফমঁধৎফ-ফহং.পড়স (শুধু বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে) বা ভধসরষু.ধফমঁধৎফ-ফহং.পড়স (বিজ্ঞাপন ও অনুপযুক্ত কনটেন্ট বন্ধ করতে) লিখে সেভ দিতে হবে। এরপর ফোনের বেশির ভাগ বিজ্ঞাপন অদৃশ্য হয়ে যাবে। যদিও কিছু ওয়েবসাইট সামান্য ধীরে লোড হতে পারে।
প্রিমিয়াম সংস্করণ ব্যবহার করা: অনেক ফ্রি অ্যাপ আয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দেখায়। তাই যদি কোনো অ্যাপের বিজ্ঞাপন খুব বিরক্তিকর মনে হয়, তাহলে এর প্রিমিয়াম সংস্করণ ব্যবহার করা যেতে পারে। কয়েক ডলার খরচ করে বিজ্ঞাপনমুক্ত অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে এবং একই সঙ্গে ডেভেলপারদের কাজেও সহায়তা হবে।
অ্যাপ ইনস্টল করার সময় সতর্ক থাকা: অ্যাপ ইনস্টল করার আগে রিভিউ পড়তে হবে এবং বেশি বিজ্ঞাপন বা অতিরিক্ত অনুমতি চাওয়া অ্যাপ এড়িয়ে যেতে হবে। এতে ফোনে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন ঢোকার ঝুঁকি কমবে।

