মেটার টেক্সট-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসে আসছে অস্থায়ী পোস্টিং ফিচার। ‘গাউস্ট পোস্টস’ নামে নতুন এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এমন পোস্ট দিতে পারবেন যা থ্রেডসের মূল ফিডে অন্য পোস্টের মতোই দেখা যাবে; তবে ২৪ ঘণ্টা পর নিজ থেকেই অদৃশ্য হয়ে যাবে। ফিচারটির বিশেষত্ব হলো অন্য ব্যবহারকারীরা ‘গাউস্ট পোস্ট’-এর সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারলেও লাইক ও রিপ্লাই দেখতে পারবেন কেবল মূল পোস্টদাতা। ব্যবহারকারীরা পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবেন কিন্তু সেই প্রতিক্রিয়া সাধারণভাবে প্রকাশ পাবে না। আরও একটি পার্থক্য হলো, গাউস্ট পোস্টের রিপ্লাইগুলো পাবলিক ফিডে না গিয়ে সরাসরি ব্যবহারকারীর ইনবক্সে চলে যাবে। চাইলে ব্যবহারকারী সেখানে গিয়ে প্রাইভেটভাবে রিপ্লাই দিতে পারবেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে রিপ্লাই দেওয়ার সীমাবদ্ধতাও থাকতে পারে কারণ থ্রেডস অ্যাপে মেটার ডিফল্ট মেসেজিং সেটিংস অনুযায়ী কেবল ফলো করা অ্যাকাউন্টগুলোকেই ডাইরেক্ট মেসেজ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া থাকে। অবশ্য এই সেটিং ব্যবহারকারী চাইলে পরিবর্তন করতে পারবেন।
প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেট লিখেছে, মেটার এই ফিচারটি আসলে ব্যবহারকারীদের আরও বেশি করে পোস্ট করতে উৎসাহিত করার কৌশল। কারণ ইনস্টাগ্রামে দেখা গেছে ‘স্টোরিজ’ ফিচারটি স্থায়ী পোস্টের তুলনায় অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে এমন অস্থায়ী পোস্টিং ফিচার টেক্সট-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে সবসময় সফল হয়নি। টুইটার একসময় ‘ফ্লিটস’ নামে একই ধরনের একটি ফিচার চালু করেছিল যা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজের মতোই কাজ করত কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই ফিচারটি জনপ্রিয়তা হারায়। এমনকি তখনকার সিইও জ্যাক ডরসি ফিচারটি অপছন্দ করতে শুরু করেন এবং এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যেই ফ্লিটস ফিচারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। মেটা এবার প্রায় একই ধারণা নতুনভাবে ফিরিয়ে আনছে তবে ‘গাউস্ট পোস্ট’ সফল হবে কি না তা এখনই বলা কঠিন।
ইউটিউবে ছড়াচ্ছিল ম্যালওয়্যার
ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে ক্ষতিকর সফটওয়্যার বা ম্যালওয়্যার ছড়ানোর একটি বিশাল নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছে সাইবার নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠান চেক পয়েন্ট রিসার্চ। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মনে হওয়া বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ভিডিওর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করাচ্ছিল ‘ইউটিউব ঘোস্ট নেটওয়ার্ক’ নামের একটি চক্র। বিষয়টি গুগলকে জানানোর পর ম্যালওয়্যার ছড়ানোর সঙ্গে যুক্ত তিন হাজারের বেশি ভিডিও মুছে ফেলেছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। এসব ভিডিওতে জনপ্রিয় সফটওয়্যারের ‘ক্র্যাকড’ সংস্করণ ব্যবহারের পাশাপাশি গেম হ্যাক করার কৌশল শেখানো হতো। ভিডিওর বিবরণ বা মন্তব্যে থাকা লিংকে ক্লিক করে ব্যবহারকারীরা যখন ফাইল ডাউনলোড করতেন, তখনই তাদের স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে ইনস্টল হয়ে যেত ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার। তারা অ্যাকাউন্টকে এমনভাবে সাজাতো, যাতে তা বাস্তব ও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। এ জন্য নির্দিষ্ট কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে ম্যালওয়্যার ফাইলের লিংকযুক্ত টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করা হতো। অন্য অ্যাকাউন্টগুলো থেকে ভিডিওর বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করা হতো, যাতে ভিডিওগুলো আরও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। এই কাঠামোর কারণে নেটওয়ার্কটির কোনো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলেও অন্যগুলো সক্রিয় থেকে একই কার্যক্রম চালিয়ে যেত, ফলে পুরো চক্রটিকে একসঙ্গে বন্ধ করা ইউটিউবের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
ইউটিউব ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে চেক পয়েন্ট রিসার্চ জানিয়েছে, ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও এখন ম্যালওয়্যার ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে। আর তাই অনলাইনে বিনা মূল্যের সফটওয়্যার ব্যবহারের পাশাপাশি গেমের কোড হ্যাক করার ভিডিও টিউটোরিয়াল থেকে দূরে থাকতে হবে। এ ছাড়া অজানা উৎস থেকে ফাইল ডাউনলোড বা লিংকে ক্লিক করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

