যুগটা এআইয়ের। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্রমেই প্রযুক্তির দুনিয়ায় চমকের পর চমক সৃষ্টি করছে। কিন্তু তাকে ‘অন্ধ’ বিশ্বাস করলে ঠকতে হতে পারে! সকলকে এভাবেই সতর্ক করছেন গুগলের চিফ এগজিকিউটিভ সুন্দর পিচাই। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।
স্ন্দুরকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘গুগলে মানুষ সেই জন্যই সঠিক তথ্য চেয়ে সার্চ করে। এবং আমাদের আরও ব্যবস্থা রয়েছে, যার সাহায্যে মানুষ যথাযথ তথ্য পায়।’ তার মতে, এআই-এর কাছে কোনো তথ্য চাইলে অবশ্য সেটাকে যাচাই না করে মেনে নেওয়া ঠিক হবে না। তাহলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজনীয়তা কোথায়? এ প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, ‘যদি আপনি কিছু মৌলিক লেখা লিখতে চান, তাহলে এআই টুল সাহায্যকারী হয়ে উঠতে পারে। কাজেই আপনাদের শিখে রাখতে হবে এটা কোনো বিষয়ে সবচেয়ে ভালো। সব বিষয়েই সে যা বলছে সেটাই অন্ধভাবে বিশ্বাস করার কোনো মানে নেই। যথাসম্ভব সঠিক তথ্যপ্রদানের জন্য আমরা যে পরিমাণ পরিশ্রম করি তাতে আমরা গর্বিত। কিন্তু বর্তমান অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তিতে কিছু ত্রুটির সম্ভাবনা থেকেই গিয়েছে।’
আর এখানেই শুরু হয়েছে সমালোচনাও। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, গুগলের মতো এত বড় প্রযুক্তি সংস্থার উচিত নয় ইউজারদের ফ্যাক্ট চেক করতে বলা। বরং নিজেদের ব্যবস্থাকেই আরও নিখুঁত করা দরকার। প্রসঙ্গত, গুগলই কেবল নয়, অন্য সংস্থার এআই-এর ক্ষেত্রেও কিন্তু একটা সতর্কবাণী থাকে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রশ্ন করলে সঠিক উত্তর নাও পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেটুকুই যথেষ্ট নয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক সময়ই এআই চেষ্টা করে উত্তরটা যাতে ইউজারের মনোমতো হয় তা নিশ্চিত করা। আর সেখানেই হয়ে যাচ্ছে সমস্যা। এবার খোদ সুন্দর পিচাইও সকলকে সতর্ক করায় প্রশ্ন উঠছে এআই-এর কার্যকারিতা নিয়ে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন