লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা ও ভাঙচুর করে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে আলাদা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই দুজনকে বহিষ্কার করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই দিনে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বহিষ্কৃত দুই নেতা হলেনÑ পাটগ্রাম পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হোসেন এবং পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য বাদশা জাহাঙ্গীর মোস্তাজির।
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাহমুদ হোসেনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাথমিক সদস্যপদসহ যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জয়নুল আবেদীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে মোস্তাজিরকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাটগ্রাম থানায় হামলা ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া হাতীবান্ধা থানা অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় আলাদা মামলায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন হাতীবান্ধা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহেদুল ইসলাম।
মামলায় হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরুন্নবী কাজল এবং মাহফুজার রহমান বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, অবরোধ ও হুমকির অভিযোগে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল ও ছাত্রদলের
বেশ কয়েকজন নেতার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা পাওয়া দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া ও থানায় হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবী বলেন, হাতীবান্ধা থানা অবরুদ্ধ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় প্রধান আসামি নুরুন্নবী কাজলসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ ঘটনার পর থেকে পাটগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিরাপরাধ কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আপনার মতামত লিখুন :