১০ মহররম ‘শাহাদাতে কারবালা দিবস’ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের পটিয়ায় আলোচনা ও সালাতু সালাম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে বিশ্ব সুন্নি আন্দোলন ও বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব পটিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
পটিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সভাপতি খোরশেদুল আলম মোরশেদ।
সমাবেশে দিনটিকে ‘সমগ্র মানবজাতির মুক্তির মহাশাহাদাত দিবস’ হিসেবেও অভিহিত করেছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা আবু তালেব সারতাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন হাফেজ কারি ইলিয়াস শাহ, জেলা নেতা আব্দুল বারেক, কামরুল ইসলাম নকিব, মাওলানা শরীফ সরওয়ার, এমফিল গবেষক রেজাউল কাউসার, নজিবুল কবির রাহগীর, লুতফুর রহমান, মহিলা নেত্রী সাবিনা সাদাত সাবা, মাওলানা নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মহসিন, মাওলানা ফরিদুল ইসলাম, আব্দুর রহিম, আবুল কালাম, গোলাম সরওয়ার, মীর সুজন, হোসনে আরা আক্তার, সালমা আক্তার, জিনু আক্তার, ববি আক্তার, উম্মে হাবিবা এবং স্টুডেন্ট ফ্রন্টের নেতা সজিব মোকাররম প্রমুখ।
সালাতু সালাম সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘দশই মহররম শুধুমাত্র ইতিহাস নয়, এটি সত্য ও ন্যায়ের পথে আত্মত্যাগের এক চিরন্তন আদর্শ। ইমাম হুসাইন (র.)-এর কারবালার শাহাদাত আজও সব নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের প্রেরণার উৎস।’
তারা বলেন, ‘কারবালার শিক্ষা হলো অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থান গ্রহণ এবং সত্যের পথে অবিচল থাকা। এই শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজজীবনে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘ইমাম হুসাইন (র.)-এর শাহাদাত উমাইয়া গোত্রীয় মুলুকিয়ত ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে মানবিক খেলাফত প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল। এই মহান শাহাদাত মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও মানবিক সাম্যের রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক।’
উল্লেখ্য, বিশ্ব সুন্নি আন্দোলন ও ইনসানিয়াত বিপ্লব প্রতি বছরই শাহাদাতে কারবালা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, দোয়া ও সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে। এবারের সমাবেশে পটিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষ ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :