কোক স্টুডিও বর্তমান বিশ্বে একটি জনপ্রিয় সংগীত-শো। এটি আন্তর্জাতিকভাবে সারাবিশ্বে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। কোক স্টুডিওর কার্যক্রম বাংলাদেশে ২০২২ সাল হতে পরিচালিত হয় কোক স্টুডিও বাংলা নামে। যেখানে দেশের অনেক নামকরা তারকা খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পীসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক শিল্পীও গান করে।
এমন একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে গান করা বা শিল্পী হিসেবে কাজ করার স্বপ্ন প্রত্যেকটি শিল্পীসহ সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদেরও থাকে। আর সেই স্বপ্নই পূরণ করতে পেরেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নূর রহমান প্রান্ত। তিনি কোক স্টুডিও বাংলার দুইটি গানে ('লং ডিস্টেন্স লাভ' এবং 'ক্যাফে') প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে কাজ করেছেন।
নূর রহমান প্রান্তের সাথে এই সম্পর্কে কথা হয় দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের। কোক স্টুডিও বাংলার সাথে কিভাবে যুক্ত হওয়া প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোক স্টুডিও বাংলা একটি ক্যাম্পেইন করেছিল ভোকালিস্টের জন্য। যে, এই ক্যাম্পেইন থেকে পরবর্তীতে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে ডাক দেওয়া হবে পর্যায়ক্রমে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেখানে আমি গান জমা দিতে পারিনি। টাইম ওভার হয়ে যাওয়ার কারণে আমি জমা দিতে পারিনি, যেটা আমার জন্য ছিল হতাশাজনক।
কিন্তু পরবর্তীতে প্লেব্যাক সিঙ্গারের জন্য আবারো অডিশন নেয়। এইটা আম জানতে পারি আমাদের ভার্সিটির সিনিয়র অনিমেশ ভাই এর মাধ্যমে। তো অডিশন দিতে গেলাম। অডিশনে ছোট-বড় চেনা-অচেনা অনেক শিল্পীই এসেছিলেন। সেখান থেকে শুভেন্দু দা আমাকে সিলেক্ট করলেন। শুভেন্দু দা সিলেক্ট করার পরে আমাকে কয়েকটি গানের নাম ও লিরিক্স দিয়ে বললেন যে, এই গানগুলোতে কাজ করবা। তো এর মধ্যে লং ডিস্টেন্স লাভ ও ক্যাফে গান দুইটি রিলিজ হয়েছে।
কোক স্টুডিও বাংলাতে কাজ করতে পেরে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে নূর রহমান প্রান্ত বলেন, একটা ভালো জায়গা বা বড় একটা জায়গায় কাজ করতে পারা তো সবার জন্যই একটা স্বপ্ন। কোক স্টুডিও একটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্ল্যাটফর্ম। আমরা যারা নতুন, গান নিয়ে কাজ করছি বা গান শিখছি। তাদের জন্য এই জায়গা একটা সারপ্রাইজের মতো।
আর এইটা আমার কাছেও সারপ্রাইজ যে এত বড় প্ল্যাটফর্মে আমি কাজ করতে পেরেছি। একজন ব্যাক ভোকালিস্ট হিসেবে কাজ করেছি। এখানে অনেক আর্টিস্টদের সাথে আমি পরিচিত হতে পেরেছি, অর্ণব দা, তুহিন ভাই, শুভেন্দু দা। আরও অনেক দেশীয় শিল্পী ছিলেন।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক মানের অনেক শিল্পীর সাথে পরিচয় হতে পেরেছি। যেমন: ক্যাফে গানের লিভিয়া, ব্রাজিল থেকে এসেছে। এইটা একটা অন্যরকম ভালো লাগার জায়গা। আর নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে কোথাও রিপ্রেজেন্ট করতে পারলে অন্তরেও শান্তি লাগে।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি সকলের ভালোবাসা ও সাপোর্ট আশা করেন এবং বলেন যে, যেভাবে আমার ব্যাচমেট,সিনিয়র,জুনিয়রদের সাপোর্ট পেয়ে আসছি আমি। এভাবেই যেন তাদের পাশে পাই,তাহলে সামনে আরও অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারব। আর সামনে আরও কয়েকটি বড় জায়গায় কাজ করার কথা চলছে, আল্লাহ ভরসা।
উল্লেখ্য, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ছাত্রদের ব্যান্ড দল বিমূর্ত এর সঙ্গে যুক্ত আছেন। প্রান্ত ছাড়াও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের আরও দুজন শিক্ষার্থী এর আগে কোক স্টুডিও বাংলাতে কাজ করেছেন।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন