ঢাকা মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫

সীমান্তে শাহীনের অপরাধ সাম্রাজ্য

জয়দেব, বান্দরবান
প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৫, ০৫:৩০ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের রামুতে দীর্ঘদিন অপরাধের সাম্রাজ্য কায়েম করেছেন যুবলীগ নেতা শাহীন উর রহমান শাহীন ওরফে ডাকাত শাহীন।

হত্যা, ডাকাতি, ঘরছাড়া করা, সীমান্তে মাদক পাচার, স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালানসহ সব ধরনের অপরাধই করতেন সীমান্ত এলাকার স্বঘোষিত ডন ডাকাত শাহীন। তার সিন্ডিকেটে রয়েছে শতাধিক দুর্ধর্ষ ডাকাত সদস্য। যাদের হাতে রয়েছে দেশি-বিদেশি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। ডাকাত শহীদ তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গরু, মাদক, স্বর্ণ চোরাচালানের পাশাপাশি হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি ও দখলবাজির ঘটনা নিয়মিত বিষয় হয়ে উঠেছে এই অঞ্চলে।

তার নিয়ন্ত্রণেই চলে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু সীমান্তের চোরাচালান। গর্জানিয়ায় পৃথক পুলিশ ফাঁড়ি ও বিজিবির ক্যাম্প থাকলেও সীমান্ত চোরাচালান থেকে শুরু করে অপরাধ সাম্রাজ্য চলে শাহীনের ইশারায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অপরাধের সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে ডাকাত শাহীন।

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত নাইক্ষ্যংছড়ি আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিউল্লাহ ও কক্সবাজার সদরের সাবেক এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের আস্থাভাজন হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সব কিছু জেনেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পেত আওয়ামী সরকারের আমলে। বেশ কয়েকবার আটক হলেও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সহযোগিতায় মুক্তি পেয়েছেন সহজেই। জেল থেকে বের হয়ে অতীতের চেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। 

এদিকে, হত্যা মামলাসহ দেড় ডজন মামলার আসামি হয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ডাকাত শাহীনকে খুঁজে পাচ্ছে না। এখনো তার অপরাধ সাম্রাজ্যে ধ্বংসে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গরু পাচারে জড়িতরা জানান, সীমান্তের চোরাচালানের একটি বড় অংশ যেত আওয়ামী লীগের নেতা শফিউল্লাহর মাধ্যমে তৎকালীন মন্ত্রী বীর বাহাদুরের কাছে ও সাবেক এমপি সাইমুল ইসলাম কমলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তার পকেটে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও ডাকাত শাহীনের সীমান্ত চোরাচালান সাম্রাজ্য এখনো বহাল তবিয়তে। অতীতের মতো এখনো তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছে না মানুষ। এখনো সীমান্ত চোরাচালানে যে অর্থ আসে তার বড় একটি অংশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কিছু কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতার পকেটে যায়। ফলে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যুবলীগ নেতা শাহীন প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তমব্রু এলাকার বাসিন্দা আমানউল্লাহ আমিন।

জানা গেছে, ২০১২ সালে অপরাধ জগতে জড়ায় শাহীন। ডাকাত দলের সদস্য থেকে ক্রমান্বয়ে দলের সরদার হয়ে রামু নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকাজুড়ে বিস্তার করেন অপরাধ জগতের সাম্রাজ্য। এক সময় শাহীন ঈদগড় ও ঈদগাঁও সড়কে ডাকাতি করত। ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে গেলে পরিচয় হয় দাগি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে। নিজে জামিনে বের হয়ে দাগি সন্ত্রাসীদের জামিনে মুক্ত করেন শাহীন। অল্প বয়সে হয়ে ওঠেন ডাকাতদলের প্রধান। কক্সবাজার জেলার আওয়ামী লীগের নেতারা জায়গা দখল, হুমকি, চাঁদা আদায়ে প্রয়োজনে ব্যবহার করতে থাকেন ডাকাত শাহীনকে।

এভাবে নজরে পড়েন কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলার এমপি সাইমুম হাসান কমলের। কমলের কাছে আসা দখল, উচ্ছেদসহ বিভিন্ন কন্টাক্টে কমল শাহীনকে ব্যবহার করতেন। আস্তে আস্তে সাইমুম ইসলাম কমলের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন শাহীন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সীমান্ত এলাকায় অপরাধের সাম্রাজ্য বিস্তার করেন তিনি। তার ডাকাতদলে সদস্য বাড়তে থাকে, সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে গুম, খুন, হামলা ও ছিনতাই। এরপর তার নজর পড়ে সীমান্ত চোরাচালানের দিকেও। গড়ে তোলেন বিশাল বাহিনী। হয়ে ওঠেন নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু সীমান্ত এলাকায় অঘোষিত অপরাধ জগতের বাদশা। 

সীমান্ত চোরাচালানে ব্যবহার করেন দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র। পুরো নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা তার দখলে। ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণে থাকায় সখ্য তৈরি হয় নাইক্ষ্যংছড়ি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত শফিউল্লাহর সঙ্গে। দুই জেলার আওয়ামী লীগের নেতাদের ছায়াতলে হয়ে ওঠেন আরও ভয়ংকর। তখন থেকেই কম্বনিয়া, তুমব্রু, বাম হাতিরছড়া, ফুলতলী, চাকঢালা, লম্বাশিয়া, ভাল্লুকখাইয়া, দৌছড়ি, বাইশফাঁড়ি, আশারতলী, জামছড়ি এবং রামুর হাজিরপাড়া ও মৌলভীরকাটা পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অবাধে প্রবেশ করানো হচ্ছে অস্ত্র, ভয়ংকর সব মাদক, স্বর্ণ ও গরু-মহিষ।

আর এসব ভয়ংকর অবরাধ করতে শাহীন তার শতাধিক সশস্ত্র ডাকাতকে ব্যবহার করেন। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মিয়ানমারের নাগরিকদেরও বাংলাদেশে প্রবেশ করান তিনি। এ ছাড়া সীমান্ত থেকে সশস্ত্র পাহারায় গর্জানিয়া বাজারে গরু আনেন ডাকাত শাহীন ও তার সদস্যরা। ডাকাত শাহীনকে প্রতি গরুতে দিতে হয় পাঁচ হাজার টাকা। অবৈধ এসব চোরাচালানে তার চাঁদাসহ কোন দপ্তর কত টাকা পাবে ঠিক করেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, শাহীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কক্সবাজারের রামু ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকার চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করেন। 

এসব চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে তার রয়েছে প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনীও। শাহীনের অপরাধ সম্রাজ্যে যুক্ত রয়েছে অন্তত এক হাজারেরও বেশি স্থানীয় বাসিন্দা। যাদের চোরাচালানের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বাহকরা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চোরাই পণ্য আনতে গিয়ে প্রায় সময় স্থল মাইন বিস্ফোরণের কবলে পড়ে পঙ্গুত্ববরণ ও নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন সময় চোরাচালানবিরোধী অভিযানে চোরাচালানসহ বাহককে আটক করা গেলেও অধরা থেকে যায় চোরাচালান চক্রের মূলহোতা ডাকাত শাহীনরা।

গোয়েন্দা তথ্য মতে, আটকদের জবানবন্দিতে উঠে আসে শাহীনসহ তার সিন্ডিকেটের নাম। এদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের যোগাযোগ থাকায় মিয়ানমার থেকে অবৈধ পন্থায় নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের কম্বনিয়া, তুমব্রু, বাম হাতিরছড়া, ফুলতলী, চাকঢালা, লম্বাশিয়া, ভাল্লুকখাইয়া, দৌছড়ি, বাইশফাঁড়ি, আশারতলী, জামছড়ি এবং রামুর হাজিরপাড়া ও মৌলভীরকাটা পয়েন্ট দিয়ে চোরাচালান করেন শাহীন। অদৃশ্য কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সীমান্তরক্ষী বাহিনী ডাকাত শাহীনদের চোরাচালান বন্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

২০২৪ সালের এপ্রিলে সীমান্ত চোরাচালান বন্ধে অভিযান চালালে বিজিবির ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় ডাকাত শাহীনের সদস্যরা। এ ঘটনায় ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করে বিজিবি। কিন্তু সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ হয়নি আজও। 

শাহীনের নেতৃত্বে অস্ত্র তৈরি ও প্রশিক্ষণ

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ডাকাত শাহীনের নিয়ন্ত্রণে অস্ত্র তৈরির কারিগর ও অস্ত্র প্রশিক্ষকসহ শাহিন বাহিনীতে রয়েছে দুই শতাধিক সশস্ত্র লোকবল। যার মধ্যে চলতি বছরের গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গ্রুপটি ভিকচান মিয়া নামে সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত এক সদস্যকে অস্ত্র প্রশিক্ষক হিসেবে ভাড়ায় আনা হয়। তবে এক অভিযানে ভিকচান মিয়াকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে পুলিশ।

নিজের পথে বাধা হলেই হামলা 

শাহীন বাহিনীটির কাছে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ির ৬ ইউনিয়নের অর্ধলাখের বেশি মানুষ জিম্মি। তার নির্যাতন থেকে বাদ যায়নি সাবেক ইউপি সদস্যও। রাতের বেলা রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় দলবদ্ধ সশস্ত্র মহড়া দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার প্রতিবাদ করায় ইউপি সদস্য মনিরুল আলমকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল দুই পা। এমনকি এই শাহীনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকায় মানববন্ধনও করেছিল সাধারণ মানুষ।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নারিচবুনিয়ার বাসিন্দা রোকসানা নাসরিন খোরশেদ, মুফিজুর রহমান ও মকসুদুর রহমান বলেন, তাদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ সময় শাহিন বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যেকের হাতে ছিল ভারী অস্ত্র। ডাকাত শাহীন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এক গর্ভবতী গৃহবধূ ও এক কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে। বসতবাড়িতে আগুন দেয় এবং ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে চলে যাওয়ার সময় শাহিন বাহিনী স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আমাদের নিরাপত্তার জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম। কিন্তু এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

শাহীনের হত্যাকাণ্ডের শিকার

নিজের জমির ওপর দিয়ে গরু নিতে বাধা দেওয়ায় রাতের আঁধারে সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় জাফর আলম ও তার ছেলে সেলিমকে। ২০২৩ সালের ৩ মার্চ শফিউল্লাহ্র ছেলে ইরফানকে ডাকাত শাহীন নিজের বাইকে বসিয়ে পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করে। ইরফানের বাবা শফিউল্লাহ বলেন, আমার কলিজার ছেলেটাকে এভাবে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে আমাকে সন্তানহারা করেছে। মামলা হলেও তার বিচার হবে না। কারণ তার আছে ক্ষমতা ও টাকা। 

গত বছর ৮ মে মধ্যরাতে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় আবুল কাশেমকে। আবুল কাশেমের ভাই মো. শহীদুল্লাহ্ জানান, ডাকাত শাহীন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার ভাইকে তুলে নিয়ে হত্যা করে। তার নেতৃত্বে গরু পাচারে বাধা দেওয়ায় আমার ভাইকে হত্যা করল ডাকাত শাহীন। 

২০১৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে রামু গর্জনিয়া শিবাতলী পাহাড়ি এলাকার গোপন আস্তানা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ডাকাত সর্দার শাহীন উর রহমান ওরফে ডাকাত শাহীন। সে সময় প্রায় তিন বছর কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও জড়িয়ে পড়েন অপরাধে। পরে ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি পাঁচটি ডাকাতি, তিনটি অস্ত্র, একটি মাদক, চারটি হত্যাচেষ্টার মামলায় ডাকাত শাহীনের সহযোগী তারেক জিয়াকে আটক করেছিল র‌্যাব-১৫। তবে জামিনে মুক্ত হয়ে আবার বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। ঘটান বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড।

এসব বিষয়ে জানতে শাহীন উর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

পুলিশ বলছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের রামু থানায় হত্যা, অস্ত্র চোরাচালান, ডাকাতি ও গরু পাচারসহ ১৭টি মামলা রয়েছে শাহীন উর রহমান ওরফে ডাকাত শাহীনের বিরুদ্ধে। 

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার  ওসি মো. মাসরুরুল হক বলেন, ডাকাত শাহীনকে ধরতে আমরা চেষ্টা করছি। খুব তাড়াতাড়ি তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) জিনিয়া চাকমা বলেন, দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অনেক অভিযুক্তই আত্মগোপনে রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তকেন্দ্রিক অপরাধ রোধে আমাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।