রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৫:৫১ এএম

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি

রেহানা, টিউলিপ, আজমিনা ও রাদওয়ানের বিরুদ্ধে আরও  পাঁচজনের সাক্ষ্য

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ০৫:৫১ এএম

দুর্নীতি

দুর্নীতি

পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক তিন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের (ববি) বিরুদ্ধে আরও পাঁচজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২১ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ঠিক করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ তারিখ ধার্য করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মো. মঈনুল হোসেন।

যে পাঁচজন গতকাল আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা হলেনÑ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক সফিকুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেন; এনবিআরের কর অঞ্চল-৬-এর পরিদর্শক লুৎফর রহমান; সাঁটলিপিকার রেজাউল হক এবং নোটিশ সার্ভেয়ার আবু তাহের। মামলা তিনটিতে গত ১৩ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। আর প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগের অপর তিন মামলায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে ১১ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ মামলার বিচার চলছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ।

টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি)। তিনি দেশটির সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’। তিনি এখন বাংলাদেশে বিচারের মুখোমুখি। পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা পৃথক ছয় মামলায় শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে গত ৩১ জুলাই অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার দুই বিশেষ জজ আদালত।

মামলায় শেখ হাসিনা পরিবারের বাইরে যে ১৬ জন অভিযুক্ত হয়েছেন, তারা হলেন জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, গণপূর্তের তৎকালীন সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিয়া, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য কবির আল আসাদ, সদস্য তন্ময় দাস, সদস্য নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার।

দুদক বলছে, রাজউকের সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী, ঢাকায় যাদের প্লট-গাড়ি-বাড়ি কিছুই নেই, তারা মূলত সংস্থার প্লট বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু শেখ হাসিনার পরিবার রাজউকের কাছে মিথ্যা হলফনামা দেয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, তাদের ঢাকা শহরে জমি-বাড়ি কোনো কিছুই নেই। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্তে বেরিয়ে আসে, শেখ হাসিনার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের নামে বাড়ি-জমি-গাড়ি সবই আছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা রাজউকের ৬০ কাঠার প্লট নিয়েছেন, যা অপরাধ। অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গসহ অন্যান্য অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদ-।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!