ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা অবনতি হয়েছে। তাকে আপাতত সম্পূর্ণ নিরিবিলি পরিবেশে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। গতকাল শুক্রবার নুরের ফেসবুক পেজ থেকে এ-সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছে অ্যাডমিন। এদিন জাতীয় জাদুঘরের সামনে নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় জড়িতদের শাস্তিসহ তিন দফা দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ সংহতি সমাবেশ করে।
নুরের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, নুরের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা অবনতি হওয়ায় ডাক্তার এই মুহূর্তে তাকে সম্পূর্ণ নিরিবিলি পরিবেশে রাখতে বলেছেন। হাসপাতালে অনেক দর্শনার্থী আসার কারণে সেই পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। পোস্টে আরও বলা হয়, দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাক্সক্ষীদের কাছে অনুরোধ, দয়া করে হাসপাতালে ভিড় না করে যার যার অবস্থান থেকে আল্লাহর কাছে তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করুন।
এদিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ। সমাবেশ থেকে তিন দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলোÑ গণধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় জড়িতদের শাস্তি, আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের বিচার, নিবন্ধন ও রাজনীতি নিষিদ্ধ ও ব্যর্থতার দায়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ। সমাবেশে গণধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।
এদিকে নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তিন সদস্যের এই কমিশনের সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আলী রেজা। গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তা, প্রয়োজনীয় ব্যয় দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া কমিশনকে সহায়তার উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত যেকোনো ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিতে পারবে মন্ত্রণালয়।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এক মাস বা ৩০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট নুরুল হক নুরের ওপর হামলা এবং গুরুতর আঘাতের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত এবং উল্লিখিত ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করবে এই কমিশন।