বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ ও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং মালামাল বিক্রয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুপুরে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
মহাপরিচালক বলেন, এনফোর্সমেন্ট দল অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ২৭ জুন যন্ত্রপাতি লুটপাট, বাংলাদেশি ও ভারতীয় কর্মচারীদের মধ্যে বেতন-বৈষম্যসহ আরও কয়েকটি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট দল। বাগেরহাট জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল।
ওই সময় সাইদুর গণমাধ্যমকে বলেন, দুই দেশের নাগরিকদের বেতন বৈষম্য, কর মওকুফে অনিয়ম, কয়লা ক্রয়ে নয়-ছয়সহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অনিয়মসংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে।
ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ বিনিয়োগে ২০১০ সালে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১৩ সালে বিআইএফপিসিএল ও বিপিডিবির মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সই হয়। ওই বছরই কেন্দ্রটির জন্য জমি অধিগ্রহণ, জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে।
