এবারের দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকাল রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে তিনি বলেছেন, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবারের পূজায় ৮০ হাজার ভলেনটিয়ার থাকবে। পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে জড়িত যারা আছেন, তারা মাঠে থাকবেন। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে তারা মাঠে থাকবেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার ভালোভাবে পূজা উদযাপিত হবে।
পঞ্জিকা অনুযায়ী এবার মহালয়ার সপ্তম দিন আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর সপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর অষ্টমী, অক্টোবরের ১ তারিখ নবমী এবং ২ অক্টোবর দশমীর সন্ধ্যায় বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি হবে।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘হচ্ছে না, তা বলব না; তবে আমরা সতর্ক আছি এবং ধরাও পড়ছে।’ দুর্গাপূজায় ২৯ জেলাকে ‘ঝুঁকিপ্রবণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে নাগরিক সমাজকে নিয়ে নবগঠিত প্ল্যাটফর্ম ‘সম্প্রীতি যাত্রা’ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এমন কোনো তথ্য তার কাছে নেই। সাগরপথে সারসহ বিভিন্ন পণ্য মিয়ানমারে পাচার: সাগরপথে ইউরিয়া সারসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে পাচার হচ্ছে। তার বদলে মাদক আসছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। বৈঠকে মাদক চোরাচালান নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দেশে মাদক আসছে, তার পরিবর্তে চাল-সার যাচ্ছে। এটা কীভাবে রোধ করা যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।’
সার-চালের ক্ষেত্রে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম থেকে শুধু না; বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা থেকে যায়। এ ব্যাপারে নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা প্রতিরোধে। মাদকের ওপরে আরকান আর্মি বেঁচে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মাদকের বাজারে মাদকের দাম বেড়ে গেছে দাবি করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, একটা ভালো খবর হলো মাদক উদ্ধার এবং গ্রেপ্তারের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। মাদক ধরার কারণে দামও বেড়ে গেছে; কারণ মাদক পাওয়া যাচ্ছে কম।