ঢাকা সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫

স্কুল-কলেজের প্রধান নিয়োগ  এনটিআরসিএর মাধ্যমে 

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫, ১১:১৯ পিএম

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার। তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্যÑ মানসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, বিজ্ঞানভিত্তিক ও মানবিক শিক্ষা নিশ্চিত করা।

অন্যদিকে শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন-গ্রেড কম্পিউটার অপারেটরের স্কেলের সমান। আর সরকারি কলেজের অধ্যাপকের স্কেল একজন যুগ্ম সচিবেরও নিচে।

গতকাল রোববার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে উপদেষ্টারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। 

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর মন্ত্রণালয় শিক্ষাব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। আধুনিক বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে আমরা তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ, উদ্ভাবনী ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার উপযোগী নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

তিনি আরও বলেন, এত দিন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক ও প্রভাষক পদে প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করার দায়িত্ব এনটিআরসিএ’র হাতে থাকলেও প্রতিষ্ঠানপ্রধান, সহকারী প্রধান ও কর্মচারী পদে নিয়োগের ক্ষমতা ছিল পরিচালনা পর্ষদের হাতে। পরিচালনা পর্ষদ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা হারানোর পর এবার প্রধান ও অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষমতাও হারাচ্ছে।

উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, সরকারি শিক্ষকদের মধ্যে আমরা দেখব, সবচেয়ে নিচে রয়েছেন প্রাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষকেরা। তারা কত গ্রেডে বেতন পান? ১৩ (জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেড)। অর্থাৎ একজন কম্পিউটার অপারেটরের স্কেলে। এই হচ্ছে তার সম্মান। সুতরাং শিক্ষকদের যদি সত্যি মর্যাদা দিতে হয়, তাহলে শুধু মুখের কথায় চিঁড়া ভিজবে না। এই কথাটা আমাদের মনে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ১২ গুণী শিক্ষককে সম্মাননা দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ, ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের মহাসচিব সালিম এম আল মালিক, ইউনেসকোর ঢাকা অফিসের প্রধান সুসান ভাইজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা।