৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে পদ শূন্য ছিল এক লাখ। আবেদন করেছিলেন ৫৭ হাজার ৮৪০ জন। তবে আমরা সবাইকে সুপারিশ করতে পারিনি। এর পেছনে নানা কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এনটিআরসিএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে বেশি নম্বর পেয়েও অনেকে সুপারিশ পাননি। এর অন্যতম কারণ হলো, ওই প্রার্থী পছন্দক্রমে অল্প কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছিলেন। তার আত্মবিশ্বাসের কারণে তিনি সুপারিশবঞ্চিত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ১১০টি পদ রয়েছে। কিছু কিছু পদে প্রার্থী অনেক বেশি থাকলেও পদ অনেক কম। ফলে যোগ্য হলেও পদ স্বল্পতার কারণে তাদের সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে ৬০ হাজার ৫২১ জন শিক্ষক নিবন্ধন সনদ অর্জন করেছেন। এসব প্রার্থী এবং ১৭তম নিবন্ধনের প্রার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪১ হাজার ৬২৭ জনকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ করা হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩৪৩ জন যোগদান করেছেন।
কর্মশালা থেকে আরও জানানো হয়, একটি বিশেষ ও ১৮টি নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে ৭ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৬ জনকে শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ দেওয়া হয়েছে। সনদপ্রাপ্তদের বিষয়ভিত্তিক জাতীয় মেধাতালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
১৯টি নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রার্থী ছিলেন এক কোটি ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৬ জন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে ১ম থেকে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ পর্যন্ত এক লাখ ৭৭ হাজার ৫৭১ জনকে নিয়োগ সুপারিশ করা হয়েছে।