রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে (৫০) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) পল্লবী থানায় তার স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা মামলাটি করেন। এতে পাচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭–৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ঘটনার পর একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- জনি ভূইয়া (২৫), সোহেল ওরফে পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন (৩০), সোহাগ ওরফে কাল্লু (২৭), মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম (২৮) ও রোকন (৩০)। এ ছাড়া আরও কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন পরিকল্পনাকারী পাতা সোহেল ও ভাগিনা মাসুম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাদের নির্দেশে জনি ভূইয়া, সোহাগ ও রোকন হার্ডওয়্যার দোকানে ঢুকে গোলাম কিবরিয়াকে লক্ষ্য করে কাছ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। গুলিতে তার চোয়াল, গলা, কান, ঘাড়, বুক ও হাতে আঘাত লাগে। কিবরিয়া মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা দ্রুত সরে পড়েন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পল্লবীর পুরোনো থানার সামনে ‘সি’ ব্লকের একটি দোকানে এ ঘটনা ঘটে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মাস্ক ও হেলমেট পরা তিন ব্যক্তি দোকানে ঢুকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কিবরিয়াকে গুলি করে বেরিয়ে যান। এ সময় পালানোর পথে তাঁরা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক আরিফ হোসেনকেও গুলি করেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হত্যার পরপরই স্থানীয় লোকজন হামলাকারী জনি ভূইয়াকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

