১৩ গ্রেডের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রাঞ্জন পোদ্দার।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর মধ্যে ৯টি সংগঠন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সন্তুষ্ট হয়েছে। তবে, ভুঁইফোড় চারটি সংগঠনের সদস্যরা আন্দোলন করেছে। তারা শিক্ষকদের ভুল বুঝিয়ে অযৌক্তিক আন্দোলনের ডাক দিয়ে ভোগান্তিতে ফেলেছেন।’
আন্দোলনের অংশ নেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তারের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে তার পরিবারের পাশে থাকার কথাও জানিয়েছেন ডা. বিধান রাঞ্জন।
‘গানের শিক্ষক নিয়োগ এ সরকারের আমলে না হলেও পরবর্তী সরকার পদক্ষেপ নেবে’ বলে আশা প্রকাশ করেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা।
প্রসঙ্গত, দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে ৮ নভেম্বর সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। ওইদিন দুপুরে শহীদ মিনার থেকে শাহবাগে গিয়ে শিক্ষকরা কলম বিসর্জন কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের লাঠিচার্জ, জলকামান, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড হামলার শিকার হন। আহত হন ১০৯ জন শিক্ষক। পাঁচ জন শিক্ষককে পুলিশ আটক করে। পুলিশি নির্যাতন ও শিক্ষক আটকের ঘটনায় রবিবার (৯ নভেম্বর) সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। আর কাফনের কাপড় হাতে নিয়ে শিক্ষকরা শপথ নিয়েছিলেন দাবি আদায় ছাড়া ঘরে ফিরবেন না।

